বন্যহাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু

14

নাইক্ষ্যংছড়িতে বামহাতিছড়ি সীমান্তে বন্যহাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে বিজিবি’র এক নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নানের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌঁনে ৭ টায় সীমান্তের ৪৯-৪৮ পিলারের মাঝখানে ভাল্লুকখাইয়া মৌজার বামহাতির ছড়ার বটতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সুবেদার আবদুল মান্নান ১১ বিজিবি অধীনস্ত ভালুক খাইয়া বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশ সীমান্তের নানা পয়েন্টে চোরাচালান বৃদ্ধি পায়। এসব পয়েন্ট দিয়ে গরু, মহিষ, ছাগল, বিদেশী মদ, সিগরেট, স্বর্ণ ও ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার হচ্ছিলো। সম্প্রতি সীমান্তের ৪৫ থেকে ৫০ নম্বর পিলার জুড়ে ১১ বিজিবির কঠোর নজরদারী বাড়ায় এসব পাচার তৎপরতা বন্ধ থাকে। তবে হাতির ঘটনায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে নতুন করে। ঘটনার দিন হঠাৎ করে ভাল্লুকখাইয়া বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার হিসেবে নায়েক মান্নানের কাছে খবর আসে তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কিছু চোরাই গরু আসছে। সন্ধ্যার পর তিনি একটি টহল দল নিয়ে ৪৯নং পিলার হয়ে ৪৮নং পিলার এলাকার দিকে যান। তারা সেখানে কয়েকটি চোরাই গরুর হদিস পেয়ে সেগুলো নিয়ে কয়েকজন সামনের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় কমান্ডার মান্নানসহ অপর ৫ জন পেছনে ছিলেন। সঙ্গিদের নিরাপদ রাখতে তিনি সবার পেছনে আসছিলেন এবং তার হাতে টর্চলাইট ছিলো। লাইট দেখে বন্য হাতির একটি দলে এসে তার উপর আক্রমণ শুরু করে। তখন বাকিরা প্রাণ বাঁচাতে দূর থেকে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এরইমধ্যে একটি বড় হাতি তাকে পা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। পাশের ময়লায় তাকে কয়েক দফা ডুবিয়ে রাখে। প্রথমে গুরুতর আহত হলেও পরে আধঘণ্টার মাথায় তিনি মারা যান।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে সুবেদার মান্নানের মুখ বিকৃত হয়ে যায়। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।