বন্দুক জমা দিচ্ছে নিউজিল্যান্ডবাসী

19

ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নির্বিচার গুলি চালিয়ে হত্যাকান্ডের জেরে কর্তৃপক্ষ আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিষিদ্ধ করার পর একটি ‘বাইব্যাক’ স্কিমের অংশ হিসেবে ওইসব অস্ত্র জমা দেওয়া শুরু করেছে নিউ জিল্যান্ডবাসী। মার্চে ওই দুটি মসজিদে জুমার নামাজ চলার সময় বর্ণবাদী এক বন্দুকধারী গুলিতে ৫১ জন নিহত হওয়ার পর আইন সংস্কার করে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সেমি-অটোমেটিক ও অ্যাসাল্ট রাইফেল নিষিদ্ধ করে নিউ জিল্যান্ড সরকার। এপ্রিলে নতুন আইনটি কার্যকর করার পাশাপাশি নিষিদ্ধ অস্ত্রগুলো মালিকদের কাছ কিনে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা রাখা হয়, যাকে ‘বাইব্যাক’ স্কিম বলা হচ্ছে।
শনিবার ক্রাইস্টচার্চে অস্ত্র জমা নেওয়ার মাধ্যমে নিউ জিল্যান্ডব্যাপী অস্ত্র জমা নেওয়ার ও বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এই কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দেশব্যাপী ২৫০টিরও বেশি এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সব নিষিদ্ধ অস্ত্র জমা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে নিউ জিল্যান্ড সরকার। এ দিন ক্রাইস্টচার্চের ১৬৯ জন আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক তাদের কাছে থাকা ২২৪টি অস্ত্র জমা দেন। এর বিনিময়ে কর্তৃপক্ষ তাদের চার লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ নিউ জিল্যান্ড ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়। জমা নেওয়ার পর অস্ত্রগুলো ধ্বংস করা হয়। এই কার্যক্রমে জনগণের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্যান্টাবুরির আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার মাইক জনসন।
এ অঞ্চলের নয় শতাধিক লোক তাদের কাছে থাকা এক হাজার ৪১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য নাম তালিকাভুক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অস্ত্র জমা নেওয়ার এ ‘বাইব্যাক’ স্কিমের জন্য নিউ জিল্যান্ড সরকার দেশটির মুদ্রায় ২০ কোটি ৮০ লাখ ডলার বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।