বঙ্গোপসাগরে র‌্যাবের অভিযান, ১৫ জলদস্যু গ্রেপ্তার

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপক‚লের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ ১৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) -৭। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি ওয়ান শুটার গান ও চারটি কার্তুজসহ বেশকিছু দেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।
জলদস্যুতার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, হাসান, মো. মামুন, নুরুল কবির, আব্দুল হামিদ, আবু বক্কর, মো. ইউসুফ, গিয়াস উদ্দিন, সফিউল আলম, আব্দুল খালেক, রুবেল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম জিকু, মো. সুলতান ও মনজুর আলম।
র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জলদস্যুতার অভিযোগে নুরুল আফসার, নূরুল কাদেরসহ চার জনকে আটক করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নুরুল কবির, আব্দুল হামিদ, আবু বক্কর, ইউসুফ, গিয়াস উদ্দিন, সফিউল আলম, আব্দুল খালেক, রুবেল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম জিকু, সুলতান ও মনজুর আলমসহ আরও ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি ওয়ান শুটার গান ও চারটি কার্তুজসহ বেশকিছু দেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়।
র‌্যাব কর্মকর্তা ইউসুফ বলেন, সাঁড়াশি অভিযানের পর বিগত ২০১৮ সালের পয়লা নভেম্বর বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সুন্দরবন এলাকায় জেলেরা স্বস্তির সঙ্গে মাছ শিকার করে আসছেন। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরূপদ্রব থাকার পর সম্প্রতি সাগরে জলদস্যুদের উৎপাত ফের বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের শেষদিকে পটুয়াখালীর পাথরঘাটা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সাত জলদস্যুকে আটক করে র‌্যাবের বরিশাল ইউনিট। একই অভিযানে তিন জলদস্যু র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। ওই সময় আটক জলদস্যুরা র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, এখন অন্যান্য জলদস্যুরা বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়া এলাকায় অবস্থান করছে। এরপর সেসব এলাকায় র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। জলদস্যুদের অবস্থান শনাক্তের পর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।