বইমেলায় পেশাজীবী সমাবেশ

56

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলা চট্টগ্রাম’র ৮ম দিনে বাঙালী চেতনাবোধে পেশাজীবীদের যাত্রা শীর্ষক সমাবেশ পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এ.কিউ.এম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে গত ১৭ ফেব্রæয়ারি বিকেল ৫টায় জিমনেশিয়ামস্থ অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পেশাজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল খান। প্রধান আলোচক ছিলেন সাউদান বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের উপ-উপাচার্য ইঞ্জিনিয়ার আলী আশরাফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম উদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাহিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা গবেষক আবু সাঈদ সর্দার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবৃত্তি শিল্পী এড. মিলি চৌধুরী। ২য় পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী অনামিকা তালুকদার, কোহেলী মজুমদার, লুপর্ণা মুৎসুদ্দী, সোনিয়া হায়দার, অনুপম দেবনাথ পাভেল, প্রিয়া ভৌমিক। নৃত্য পরিচালক স্বপন দাশের পরিচালনায় দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ঘুঙুর নৃত্যকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ। সভায় প্রধান অতিথি বলেন মানুষ ভিত্তি হচ্ছে তার শেকর। আর শেকড়ের সমস্যা হলে তার অস্তিতের সংকট হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের মাধ্যমে সেদিন সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্নে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। আর সব পেশার মানুষ অনুভব করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছিলেন আমাদের যা কিছু আছে তা দিয়ে শত্রæর মোকাবেলা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেদিন বাঙালীর সবার হৃদয়ের কথা নিজের মনে ধারণ করে ১৮ মিনিট বক্তব্যের মাধ্যমে ৭ কোটি বাঙালিকে এক করেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কখন কিভাবে কোন কাজটির মাধ্যমে এদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হবে এবং তা তিনি তার হৃদয়ে সর্বোচ্চভাবে ধারণ করে বাঙালিকে ঐক্যের কাতারে নিয়ে এসেছিলেন। নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের ভাষায় তলাবিহীন জুড়ি থেকে কীভাবে হঠাৎ লাভ দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে দৌড়াচ্ছে তা অনেক দেশের জন্য শিক্ষনীয়। তিনি বলেন আমাদের ৯০% দরকার হৃদয়ভিত্তি দিয়ে দেশপ্রেমের শিক্ষানিয়ে কাজ করে যাওয়া। বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনা এখনো চলমান। এ আদর্শের বহমান ধারা চলতে থাকবে। আত্মপরিচয়, আত্মস্বীকৃতি এবং আত্মসম্মানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বির্নিমাণে আমাদেরকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশকে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় পেশাজীবীদের জাড়ার চৈতন্য অব্যাহত আছে। পেশাজীবীদের সংকট সমাধানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একমাত্র মুক্তির পথ। বিজ্ঞপ্তি