প্রাথমিকের বৃত্তির ফল প্রকাশের ৪ ঘণ্টা পর স্থগিত

6

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোডিং ভুলের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল প্রকাশের চার ঘণ্টা পর স্থগিত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ডিপিই থেকে ই-মেইলে সব ডিপিইওদের (জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা) ফল প্রকাশ না করার নির্দেশ দেয়। এর আগে দুপুর ১টার দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বৃত্তির ফলাফল প্রকাশ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিপিই পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. উত্তর কুমার দাশ গণমাধ্যমকে জানান, বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হলেও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য তা স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমানে সেটি সংশোধনের কাজ শুরু চলছে। আগামীকাল (আজ) বুধবার সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশের সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল বিদ্যালয়ে না পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংশোধনের কাজ শেষ হলে নতুন করে ফলাফল পাঠানো হবে। প্রকাশিত ফলাফল অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত ২০২২ সালের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, এ বছর প্রাথমিকে ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জানান, এবার ট্যালেন্টপুলে (মেধাবৃত্তি) ৩৩ হাজার ও ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। এছাড়া ঝরে পড়া শিশুদের কল্যাণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫৮ জনকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই বৃত্তি দেওয়া হতো। ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষাও হয়নি। এরপর গত বছরের ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল থেকে আলাদা করে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়। এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় পাঁচ লাখ ৩৯২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করে, পরীক্ষায় অংশ নেয় চার লাখ ৮২ হাজার ৯০৪ জন শিক্ষার্থী। মোট নম্বর ছিল ১০০ এবং সময় ছিল দুই ঘণ্টা।