পুলিশের হাত থেকে একদিনেই পালালো তিন আসামি

12

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর পতেঙ্গা থানায় গ্রেপ্তার হওয়া মো. হাফিজ আল আসাদ প্রকাশ ফাহিম প্রকাশ সোহাগ (২৬) নামে এক আসামি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে পালিয়ে গেছে। গত রবিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে ওই আসামি পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
এছাড়া চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে হাতকড়া লাগানোর সময় পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে গেছে দুইজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। গত রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি মো. হাফিজ আল আসাদ কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি নগরের পতেঙ্গা থানা এলাকায় থাকতেন। গতকাল সোমবার মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশেক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নগরের পতেঙ্গা থানার মিন্টু মিয়ার দায়ের করা মামলায় গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মো. হাফিজ আল আসাদকে এক হাতে গুরুতর জখম অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি দেন। সেখানে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলে পালিয়ে যায় আসামি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা জানান, মো. হাফিজ আল আসাদ নামে এক আসামিকে ছুরিকাঘাতে এক হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। হাসপাতালের চিকিৎসক তার হাতে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। রবিবার বিকেলে হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে তাকে ঢুকানো হয়। সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, হাসপাতাল থেকে এক আসামি পালিয়ে গেছে। সেখানে আমাদের কোনো দায়িত্ব ছিল না। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ দায়িত্বে ছিলেন।
অন্যদিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট এলাকা থেকে হাতকড়া লাগানোর সময় পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায় দুইজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী।
তিনি জানান, পুলিশ তাড়াহুড়ো করে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আসামিদের হাতকড়া লাগানোর সময় হাত ফঁসকে পালিয়ে যায় তারা। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে মাঠে। খুব দ্রæতই তাদের আটক করা হবে।
পালিয়ে যাওয়া আসামিরা হলেন ডুলাহাজারা ১নং ওয়ার্ডের হাসিনা পাড়া এলাকার আকবর আহমদের ছেলে মনজুর আলম (৪৫)। সে তিনটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। অন্যজন হলেন একই এলাকার গোলাম কাদেরের ছেলে শেখ মোহাম্মদ ফোরকান (৪০)। ফোরকানও চারটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।