পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি নিজেরাও সতর্ক থাকুন

6

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেছেন, ঈদের আনন্দ সবাই উপভোগ করবে। বাসা খালি করে বা পুরো বিল্ডিং খালি করে কোথাও যেতে নিরুৎসাহিত করছি। নিরাপত্তার জন্য কাউকে না কাউকে রাখতে হবে। বাড়ির সামনে পিছনে আলোকিত করে যাবেন। বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকলে অপরাধীরা ভয় পাবে। এছাড়া পুলিশের জন্যও অপরাধী শনাক্ত করা সহজ হয়। তারপরও আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আন্তরিক আছি। ঈদের ছুটিতে বাড়ি গেলে প্রতিবেশি থেকে খোঁজ নিবেন। সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় পুলিশের নাইট পেট্রোল ও অতিরিক্ত টহলের ব্যবস্থা থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গেলে মূল্যবান জিনিসপত্র, টাকা পয়সা ব্যাংকের লকারে বা বিশ্বস্ত কারো হেফাজতে রেখে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, বড় ধরনের টাকা লেনদেন করলে নগরবাসী পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারেন। পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে। ব্যাংক-মার্কেটেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধের ব্যাপারে বিজিএমইএ’র সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে কমিশনার জানান, বিজিএমইএ’র নেতারা আশঙ্কা করছেন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বেতন ভাতা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। বিজিএমইএ সেগুলো নিয়ে কাজ করছে।
গভীর রাতে উচ্চ শব্দে গান বাজনা না করার অনুরোধ জানিয়ে সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ঈদে দর্শনীয় স্থানগুলো খোলা থাকবে। প্রত্যেকের আনন্দ, উৎসব আয়োজনে অংশ নেওয়ার অধিকার আছে। তবে এটি যেন কখনোই সীমা ছাড়িয়ে না যায়। রাতে উচ্চ শব্দে গান বাজনার বিষয়ে পুলিশের কাছে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনিস সকলকে নাগরিক দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের আহŸান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির পক্ষ থেকে ‘নিরাপত্তায় সতর্কতামূলক পরামর্শ’ হিসেবে বের করা একটি প্রচারপত্র সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করা হয়। প্রচারপত্রে বাসা-বাড়ির নিরাপত্তায় বেশকিছু পরামর্শ দেওয়া হয়।

যা রয়েছে নির্দেশনায় : বাসা ভাড়া দেওয়ার সময় সকল ভাড়াটিয়ার জাতীয় পচিয়পত্রসহ সঠিক ঠিকানা এবং পেশা নিশ্চিত করে বাসা ভাড়া দেওয়া, বাসার বাথরুম অথবা রান্নাঘরে ব্যবহৃত এক্সহাস্ট ফ্যানের বাইরের অংশে লোহার গ্রিল লাগানো, বাসার জানালার বাইরের অংশে বক্সগ্রিল ব্যবহার করা, বাসার দরজায় অটোলক ব্যবহার করা, ম‚লব্যান জিনিস ও টাকা-পয়সা বিশ্বস্ত কারও হেফাজতে রেখে যাওয়া, প্রত্যেক ভবনে রাস্তামুখী সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা, কাজের লোক-দারোয়ান ইত্যাদি নিয়োগের পূর্বে পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।
এছাড়া পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে বাসার দরজা না খোলা, হকার-ফেরিওয়ালাকে বাসায় ঢুকতে না দেওয়া, অপরিচিত লোককে বাসার আশেপাশে ঘুরতে দেখলে জিজ্ঞাসাবাদ ও ছবি তুলে রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে সিএমপির পক্ষ থেকে।