পটিয়া থানার দুই ওসি ও সাংবাদিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা

221

ওসির কাছে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে গ্রেফতার হওয়া তিন কথিত সাংবাদিক এবার মামলা দায়ের করেছে পটিয়া থানার দুই ওসি ও এক সাংবাদিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে। মামলায় কথিত অনলাইন টিভি সিটিজি ক্রাইমের প্রতিনিধি পরিচয়ে রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাংবাদিক বিকাশ চৌধুরী, পটিয়া থানার ওসিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করা হয়। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
বাদি পক্ষের আইনজীবি এড. মোহাম্মদ রফিক জানান, আদালত মামলায় কোন আদেশ দেননি। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, পটিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম মজুমদার, পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন, উপ-পরিদর্শক এটিএম আমিনুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক বাসু দেব নাথ, উপ-পরিদর্শক কাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী উপ-পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম ও শেখ ফোরকান। থানা সূত্রে জানা যায়, সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে গত ২৭ নভেম্বর কথিত অনলাইন টিভি সিটিজি ক্রাইমের উপদেষ্টা শাহেদুল ইসলাম সাগর, উপস্থাপক রতন বড়–য়া পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম মজুমদারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
এ ঘটনায় পুলিশ গাড়ি চালকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান। এ চাঁদাবাজি মামলার আসামি রাশেদুল ইসলাম ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে গত মঙ্গলবার সাংবাদিক ও ওসিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মামলাটি দায়ের করেছেন। চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি শফিক আহমদ সাজিব, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বাবু, পটিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি হারুনুর রশিদ ছিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আহমদ উল্লাহসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানান।
পটিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ জানান, চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে ভূয়া অনলাইন টিভির দুই সাংবাদিকসহ গাড়ি চালককে গ্রেফতার ও সংবাদ প্রকাশের কারণে মূলত তারা পরিকল্পিতভাবে এই মিথ্যা মামলাটি করেছেন।