নুরুল আলম চৌধুরী সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকেছেন

66

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে কদম মোবারক উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে গত ১০ ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রাম উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত নুরুল আলম চৌধুরী স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন লিটনের সভাপতিত্বে ও এম নুরুল হুদা চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেডক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজম। প্রধান আলোচক ছিলেন অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু বাবুল কান্তি দাশ। অতিথি ছিলেন শরফুদ্দিন রাজু, অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান, বঙ্গবন্ধু শিল্পী গোষ্ঠী চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক গীতিকার মোহাম্মদ লিপটন, মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ চৌধুরী, অধ্যক্ষ রতন দাশ, চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের সাধারণ সম্পাদক কবি আসিফ ইকবাল, সাংবাদিক কামাল উদ্দিন, নারী নেত্রী সৈয়দা শাহানা আরা বেগম, সংগঠনের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, বোরহান উদ্দিন গিফারী, রোজী চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস সোনিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. করিম।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. আলী জিন্নাহ, তানভীর রহমান নওশাদ, শাখাওয়াত হোসেন, মো. শহিদ, আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী, জসিম মনজু, রাজু দাশ, শ্যামল নন্দী, রতন ধর, কবি পারভীন আক্তার প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, নুরুল আলম চৌধুরী সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকেছেন। তার প্রমাণ রেখেছেন জীবনের পরতে পরতে। ৭৫ এর পরবর্তীতে মন্ত্রীত্ব ও অনেক লাভজনক অফার পেয়েও হাল ছাড়েননি। এক পর্যায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করায় খুনী এবং বেইমান মোস্তাক সরকারের গ্রেফতার হন। তখন কারাগারে অমানসিক নির্যাতন করা হয় তবুও দুঃসময়ে আকড়ে রেখেছেন প্রিয় দল আওয়ামী লীগ।
১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম কলেজে প্রথম সারির নেতা হিসেবে সকল আন্দোলন- সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহব্বায়ক ছিলেন। ৭০ এর উত্থাল দিনগুলোতে নুরুল আলম চৌধুরী ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর উপপ্রধান। তখন কক্সবাজার থেকে মীরসরাই পর্যন্ত বিশাল এলাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। বক্তারা আরো বলেন, ৭১এর মার্চে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার দিনই মাইক নিয়ে নেমে পড়েন। মাইকে রাখাল চন্দ্র বনিক সহ তিন জন মিলে ক্যান্টেমেন্ট এর দিকে অগ্রসর হই এবং স্বয়ং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ নন। সামাজিক ও এলাকার সকল উন্নয়নমূলক কাজে নিয়োজিত রাখতেন। তিনি বলতেন আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি তারা বিনিময়ে কিছুই চাইনি বা পাওয়ার জন্য নয়। সভাশেষে প্রয়াত নেতা নুরুল আলম চৌধুরী’র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি