নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ড. অনুপম সেন দুঃসময়ে জাতিকে উজ্জীবিত করেছিলেন শহীদ জননী

14

সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, ৭৫ পরবর্তী ভয়ঙ্কর দুঃসময়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতিকে উজ্জীবিত করেছিলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। জাগরণকে শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামোর উপর দাঁড় করানোর আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, যাতে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী ও সা¤প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রসারে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি, চট্টগ্রামের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, নারীনেত্রী নূরজাহান খান। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের অষ্টম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।
জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহŸায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন দীপংকর চৌধুরী কাজল, শৈবাল চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন যুব, হাবিবুল্লাহ চৌধুরী ভাস্কর, প্রফেসর ড. মোজাহেরুল আলম, আহমেদ কুতুব, জাবেদুল আলম সুমন, আবু সাদাত মো. সায়েম, আবদুল মান্নান শিমুল, হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, মিথুন মল্লিক, রোখসানা পারভিন রুবা, রুবেল আহমেদ বাবু, সুচিত্রা গুহ টুম্পা, রাজীব চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. সাহাব উদ্দীন, জিয়া উদ্দিন, আবু তৈয়ব সোহেল, মো. সাহাব উদ্দিন আঙ্গুর, কাজী রোকনুজ্জামান, মো. হায়দর আলী, হুমায়ুন ছগীর মোহন, সুমন দাশ, জাহাঙ্গীর বেগ প্রমুখ।
সাংস্কৃতিক আয়োজনে গণসংগীত পরিবেশন করে উদীচী, চট্টগ্রাম এবং আবৃত্তিতে অংশ নেয় উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ ও স্বপ্নযাত্রী’র সাধারণ সম্পাদক উমেসিং মারমা।
বক্তারা বলেন, বহু বাধাবিঘœ জেল-জুলুম-হত্যা মোকাবেলা করে তিন দশকে নির্মূল কমিটি ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের বৃহত্তম নাগরিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এবং বিস্তার লাভ করেছে পাঁচটি মহাদেশে। এই আন্দোলন ও সংগ্রামের কারণে ’৭১-এর শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদÐ কার্যকর হয়েছে। অনেকের বিচারকার্য চলমান রয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, বিএনপির মদদে ’৭১-এর গণহত্যাকারী, মৌলবাদী সা¤প্রদায়িক জামায়াত-শিবির চক্র এখনও মহাদর্পে রাজনীতির অঙ্গনে বিচরণ করছে। ৭১-এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তারা বাংলাদেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তান বানাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর বার বার আঘাত করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাদীপ্ত বাঙালির আবহমান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য জঙ্গি মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের তাÐবে বিপণœ হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি