ধ্রুপদী কেদারের সুরে শুরু উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন

11

‘তুম তা না না রি রে নোম, রি রে নোম তা না না নোম’ এই অর্থবিহীন সাংগীতিক শব্দযোগে, সম্মেলক ধ্রæপদী সুরের মাধ্যমে আবির্ভাব হলো রাগ কেদারের। শুদ্ধ মধ্যম ও কোমল নিখাদের সাথে তবলার পাখোয়াজি বোলের যুগলবন্দী, তানপুরার অবারিত অনুরণন থেকে সৃষ্ট সুরের মূর্ছনা- সমাগত শ্রোতৃকুলকে নিয়ে গেলো এক পরম আনন্দলোকে। ৩ ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে শুরু হয় সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদ বাংলাদেশ আয়োজিত ২৬তম জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন-২০২৩। এবারের সম্মেলন উৎসর্গ করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিবপুরের খাঁ বাড়ির ছোট সন্তান বাবা আলাউদ্দিন এর কনিষ্ঠ ভ্রাতা উস্তাদ আয়েত আলী খাঁ-কে। সন্ধ্যা ৬টায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন তথা উদ্বোধন পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। দুইদিনব্যাপী সম্মেলন উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার। সভাপতিত্ব করেন সদারঙ্গের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় উচ্চাঙ্গ সংগীতের অতি প্রাচীন সংগীত ধারা ‘ধ্রæপদ’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। রাগ কেদারের সুরে বার মাত্রায় চৌতালে নিবদ্ধ পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর সুর বিন্যাসে সম্মেলক ধ্রæপদ পরিবেশন করেন সদারঙ্গের শিক্ষার্থী সদস্যবৃন্দ। তবলায় সঙ্গত করেন শিল্পী রাজীব চক্রবর্তী। এরপর একক রাগ পরিবেশন পর্বে- রাগ মেঘমাল্লার পরিবেশন করেন কুমিল্লার শিল্পী ফারুক আহম্মেদ, তবলায় ছিলেন শিল্পী সানি দে। হারমোনিয়ামে ছিলেন ফাল্গুনী বড়ুয়া। রাগ মধুবন্তীতে মুগ্ধ করেন শিল্পী প্রমিত বাড়ুয়া। তবলায় ছিলেন রাজীব চক্রবর্তী। রাগ বেহাগের বিরহী রূপ ফুটিয়ে তোলেন ঢাকার শিল্পী দিপ্তী সমাদ্দার দিপু। তবলায় ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশান্ত ভৌমিক। সেতারে রাগ চারুকেশি পরিবেশন করেন খুলনার শিল্পী জ্যোতি ব্যানার্জী। রাগ ভাটিয়ারীতে ধুন পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম দিনের সমাপ্তি হয়। আজ তৃতীয় ও প্রভাতী অধিবেশনে সকাল ৯টায় শুরু হবে শিশু-কিশোরদের উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশনা। বিজ্ঞপ্তি