ধর্ষণ মামলায় দুই যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগ

7

নিজস্ব প্রতিবেদক

লোহাগাড়ায় মো. কায়সার ও জালাল উদ্দিন নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। দিন দুপুরে জনবহুল এলাকা থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ‘ধর্ষণ’ করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হলেও প্রত্যক্ষদর্শী কেউ ছিলেন না বলে দাবি তাদের পরিবারের। তাদের বক্তব্য, মিথ্যা ভিডিও চিত্র তৈরি করে এলাকার একটি সন্ত্রাসী চক্র দুই নারীকে দিয়ে ধর্ষণ নাটক সাজিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নগরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার জালাল উদ্দিনের নববিবাহিত স্ত্রী আফিয়া জান্নাত এ অভিযোগ করেন। এসময় গ্রেপ্তার অপর আসামি কায়সারের মাসহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জালাল উদ্দিনের স্ত্রী আফিয়া জান্নাত বলেন, স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীসহ দুই নারী গত ২৯ সেপ্টেম্বর লোহাগাড়া থানায় তাদেরকে ধর্ষণের অভিযোগে আমার স্বামী জালাল উদ্দিন ও তার বন্ধু কায়সারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এতে ঘটনা দেখানো হয় ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায়। মামলার এজাহারে বলা হয়, উপজেলার বড়হাতিয়া মনুফরিহাট এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে তৈয়বের পাড়ার আবদুল আজিজের পরিত্যক্ত একটি টিনশেড বাড়িতে জোরপ‚র্বক ধর্ষণ করে তা ভিডিও করে।
আফিয়া জান্নাত বলেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে তাদের দেখানো ঘটনাস্থলে সকাল ১১টায় মালপুকুরিয়া মিশকাতুল উলুম মাদরাসার হাজারো শিক্ষার্থী ছিলেন। একটা চিৎকার করলে সবাই শুনতো অথচ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কেউ ঘটনার কিছু জানলো না। যে ব্রিজের ওপর থেকে ওই দুই নারীকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, ওই ব্রিজের দুইপাশে ৩টা বাড়ি আছে। একটা চিৎকার করলে ওই বাড়ির লোকজন শুনতো অথচ কেউ কিছুই জানে না। আমাদের বিয়ে হয়েছে ৫ মাস। স্বামীর কোন রকম উচ্ছৃঙ্খলতা দেখিনি। ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় যে রাস্তা দিয়ে ওই দুই নারীকে তুলে নিয়ে গেছে দাবি করছে ওই রাস্তার পাশে দুটি দোকান রয়েছে। সেখানে প্রচুর মানুষজন থাকেন। অথচ দোকানের কেউ বিষয়টি দেখল না, অথবা যাদের জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারা একটু চিৎকারও করল না। এটা সন্দেহজনক? ওই রাস্তা দিয়ে প্রতি মিনিটে ১০-১৫টা গাড়ি চলাচল করে। লোকজন পায়ে হেঁটে যায়, অথচ অপহরণকারীদের কেউ বাধা দেননি কেন? সংবাদ সম্মেলনে কায়সারের মা কুলসুমা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে তার এক বন্ধু খোকন পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিয়েছে। যে টিনশেড বাড়িতে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হচ্ছে সেই বাড়ি লাগোয়া আরো দুটি বসতঘর রয়েছে। সেখানে কয়েকটি পরিবার বাস করেন। তারাও কেন ধর্ষণের বিষয়টি টের পেলেন না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ধর্ষণ মামলার বিষয়টি প্রশ্নসাপেক্ষ। তিনি বলেন, ধর্ষণের সময় ভিডিও করার কথা বলা হলেও পুলিশ ভিডিওটি কেন জব্দ করল না। বিষয়টি পরিষ্কার যে, কায়ছার এবং জালাল উদ্দীন কোনও ভিডিও ধারণ করেননি। ধর্ষণের অভিযোগ করা দুই নারীর মধ্যে একজন স্বামী পরিত্যক্তা, অপরজনের স্বামী এলাকায় ভারসাম্যহীন হিসেবে পরিচিত। এলাকার একটি সন্ত্রাসী চক্র ওই দুই নারীকে ব্যবহার করে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা সাজিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা ধর্ষণ মামলাটি মিথ্যা দাবি করে পুরো ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানান প্রশাসনের প্রতি। এসময় জালালের ভাই মাঈনুদ্দিন, কায়সারের ভাই রিয়াজ উদ্দিন, বোন ইসমত আরা বেগম, জালালের ভাবী ইয়াছমিন আকতারসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।ধর্ষণ মামলায় দুই যুবককে
ফাঁসানোর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক

লোহাগাড়ায় মো. কায়সার ও জালাল উদ্দিন নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। দিন দুপুরে জনবহুল এলাকা থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ‘ধর্ষণ’ করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হলেও প্রত্যক্ষদর্শী কেউ ছিলেন না বলে দাবি তাদের পরিবারের। তাদের বক্তব্য, মিথ্যা ভিডিও চিত্র তৈরি করে এলাকার একটি সন্ত্রাসী চক্র দুই নারীকে দিয়ে ধর্ষণ নাটক সাজিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নগরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার জালাল উদ্দিনের নববিবাহিত স্ত্রী আফিয়া জান্নাত এ অভিযোগ করেন। এসময় গ্রেপ্তার অপর আসামি কায়সারের মাসহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জালাল উদ্দিনের স্ত্রী আফিয়া জান্নাত বলেন, স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীসহ দুই নারী গত ২৯ সেপ্টেম্বর লোহাগাড়া থানায় তাদেরকে ধর্ষণের অভিযোগে আমার স্বামী জালাল উদ্দিন ও তার বন্ধু কায়সারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এতে ঘটনা দেখানো হয় ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায়। মামলার এজাহারে বলা হয়, উপজেলার বড়হাতিয়া মনুফরিহাট এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে তৈয়বের পাড়ার আবদুল আজিজের পরিত্যক্ত একটি টিনশেড বাড়িতে জোরপ‚র্বক ধর্ষণ করে তা ভিডিও করে।
আফিয়া জান্নাত বলেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে তাদের দেখানো ঘটনাস্থলে সকাল ১১টায় মালপুকুরিয়া মিশকাতুল উলুম মাদরাসার হাজারো শিক্ষার্থী ছিলেন। একটা চিৎকার করলে সবাই শুনতো অথচ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কেউ ঘটনার কিছু জানলো না। যে ব্রিজের ওপর থেকে ওই দুই নারীকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, ওই ব্রিজের দুইপাশে ৩টা বাড়ি আছে। একটা চিৎকার করলে ওই বাড়ির লোকজন শুনতো অথচ কেউ কিছুই জানে না। আমাদের বিয়ে হয়েছে ৫ মাস। স্বামীর কোন রকম উচ্ছৃঙ্খলতা দেখিনি। ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় যে রাস্তা দিয়ে ওই দুই নারীকে তুলে নিয়ে গেছে দাবি করছে ওই রাস্তার পাশে দুটি দোকান রয়েছে। সেখানে প্রচুর মানুষজন থাকেন। অথচ দোকানের কেউ বিষয়টি দেখল না, অথবা যাদের জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারা একটু চিৎকারও করল না। এটা সন্দেহজনক? ওই রাস্তা দিয়ে প্রতি মিনিটে ১০-১৫টা গাড়ি চলাচল করে। লোকজন পায়ে হেঁটে যায়, অথচ অপহরণকারীদের কেউ বাধা দেননি কেন? সংবাদ সম্মেলনে কায়সারের মা কুলসুমা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে তার এক বন্ধু খোকন পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিয়েছে। যে টিনশেড বাড়িতে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হচ্ছে সেই বাড়ি লাগোয়া আরো দুটি বসতঘর রয়েছে। সেখানে কয়েকটি পরিবার বাস করেন। তারাও কেন ধর্ষণের বিষয়টি টের পেলেন না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ধর্ষণ মামলার বিষয়টি প্রশ্নসাপেক্ষ। তিনি বলেন, ধর্ষণের সময় ভিডিও করার কথা বলা হলেও পুলিশ ভিডিওটি কেন জব্দ করল না। বিষয়টি পরিষ্কার যে, কায়ছার এবং জালাল উদ্দীন কোনও ভিডিও ধারণ করেননি। ধর্ষণের অভিযোগ করা দুই নারীর মধ্যে একজন স্বামী পরিত্যক্তা, অপরজনের স্বামী এলাকায় ভারসাম্যহীন হিসেবে পরিচিত। এলাকার একটি সন্ত্রাসী চক্র ওই দুই নারীকে ব্যবহার করে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা সাজিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা ধর্ষণ মামলাটি মিথ্যা দাবি করে পুরো ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানান প্রশাসনের প্রতি। এসময় জালালের ভাই মাঈনুদ্দিন, কায়সারের ভাই রিয়াজ উদ্দিন, বোন ইসমত আরা বেগম, জালালের ভাবী ইয়াছমিন আকতারসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।