দেশে ৫ সপ্তাহে সর্বনিম্ন মৃত্যু, শনাক্ত ১৭৪২

31

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত একদিনে আরও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। সর্বশেষ এরচেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ৩০ মার্চ; সেদিন ৪৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর গত ৩৫ দিনে তা পঞ্চাশের নিচে নামেনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১ হাজার ৭৪২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৮ জন। আর করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা ১১ হাজার ৭৫৫ জনে পৌঁছেছে।
সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ৩ হাজার ৪৩৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন; এ পর্যন্ত সুস্থ মোট হয়েছেন ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৬৫ জন। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১ মে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে সময় টানা চার দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ৪৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ২৯ হাজারের বেশি মানুষের।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪২৭টি ল্যাবে ২০ হাজার ২৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৭৮টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ০২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪০ লাখ ৯৪ হাজার ৩৮৪টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৪টি।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ৩২ জন পুরুষ আর নারী ১৮ জন। তাদের ৩৫ জন সরকারি হাসপাতালে, ১২ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। বাসায় মারা গেছেন তিন জন।
তাদের মধ্যে ৩০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে,৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ২৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩ জন খুলনা বিভাগের এবং ২ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এ পর্যন্ত মৃত ১১ হাজার ৭৫৫ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৫৪৪ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ২১১ জন নারী।