দুই ডোজ টিকা গ্রহীতাদের এন্টিবডি তৈরি হয়েছে শতভাগ সিভাসুর গবেষণা

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, রোগী, রোগীর সহযোগী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, পোশাক শ্রমিকসহ মোট ৭৪৬ জনের এন্টিবডির উপর গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট। এতে দেখা গেছে, যারা দুই ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে প্রায় শতভাগ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ ও যারা এক ডোজও টিকা নেননি তাঁদের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ৫০ শতাংশ। ৫ মাস ধরে চালানো গবেষণার জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে গবেষণায় অংশ নেন ১০ জন গবেষক।
এ বিষয়ে ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ জানান, গত মার্চে গবেষণাটি পরিচালনা করি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিশ্লেষণ করে এই ফলাফল পাই আমরা। এতে যারা দুই ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে প্রায় শতভাগ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। শরীরে নির্দিষ্ট কোনো রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কিনা, সেটি শরীরের রক্তের নমুনা নিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়ে থাকে। এতে কেউ করোনা ভাইরাস বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা বুঝতে পারা যায়। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের পর মানব দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যদিও একেক জনের দেহে একেক রকম অ্যান্টিবডির পরিমাণ পরিবর্তিত হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী মোট ৭৪৬ জনের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বা ২২৩ জন করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। উভয় ডোজ নিয়েছেন প্রায় ৩১ শতাংশ বা ২৩১ জন এবং টিকা গ্রহণ করেননি ৩৯ দশমিক ১৪ শতাংশ বা ২৯২ জন।
এতে দেখা যায়, প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি শনাক্ত হয়েছে। উভয় ডোজ টিকা গ্রহণকারীর মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ৯৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। যারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি তাদের মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশের দেহে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
গবেষণা কাজে অংশগ্রহণ করেন ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক ও পরিচালক প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী প্রধান গবেষক ও বিভাগীয় প্রধান (মেডিসিন) প্রফেসর ডা. এম এ হাসান চৌধুরী, সহকারী গবেষক ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তারেক উল কাদের, ডা. আনান দাশ, ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ডা. ইয়াসির হাসিব, ডা. সীমান্ত দাশ ও ডা. তাজরিনা রহমান।