দীঘিনালায় পাহাড়ের ঢালুতে মিষ্টি পান চাষ

153

­­­
এ গ্রামে আগে কেউ পান চাষ করতো না। পাহাড়ে জুম চাষের সাথে পান চাষ করা যায় কি, আমিই প্রথম জুম চাষের পাশাপাশি পান চাষের উদ্যোগ নেই। আমি দুটো পানের বরজে পান চাষ শুরু করি। আশা করছি ফসল ভাল হয়েছে। পান বিক্রি শুরু করছি। গত মঙ্গলবার সকালে পান উত্তোলন করার সময় এসব কথাগুলো বলেন, দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা পানচাষী নবীন কুমার ত্রিপুরা (৩৬)। জানা যায়, দীঘিনালা উপজেলার সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া এলাকায় পাহাড়ের ঢালুতে জুম চাষের পাশাপাশি প্রথম পান চাষ শুরু করেন নবীন কুমার ত্রিপুরা। নবীন কুমার ত্রিপুরা কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার অনেকেই পান চাষ করেন। বর্তমানে এসব গ্রামে ২০টির অধিক পানের বরজ রয়েছে। এসব বরজের পান সুমিষ্ট হওয়ায় জেলা সদর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন, স্থানীয় পাইকাররা। প্রতি বিড়া ছোট পান ১৪ টাকা, মাঝারি পান ১৮ টাকা এবং বড় পান ৪০ টাকা দরে কিনে নেন, এসময় নবীন কুমার ত্রিপুরা আরো জানান, ২০১৬ সনে আমি বিনয় ত্রিপুরা নামে একজনের নিকটে পান চাষ আয়ত্ব করি। পরে আমি ২০১৯ সনে পান চাষ শুরু করি। এখন আমার স্ত্রী রনিকা ত্রিপুরাসহ (৩৩) দুজনেই পানের বরজ পরিচর্যা করি। তিনি আরো জানান, আমার দুটো পানের বরজ থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার পান বিক্রি আসবে । অপর পান চাষী স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য হতেন মেম্বার জানান, নবীন কুমার ত্রিপুরা নিকট দেখে আমিও একটি বরজ করেছি। এবরজ থেকে পান উৎপাদন শুরু হয়েছে। এব্যাপারে সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অসীম চাকমা জানান, সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামে পাহাড়ে ঢালুতে উৎপাদিত হচ্ছে সুমিষ্ট পান। উৎপাদন ভালো হওয়ায় দেখাদেখি অনেকেই চাষ করছেন।