দারুণ দুর্দশায় মাইলি সাইরাস

66

আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ হলো মার্কিন পপ গায়িকা ও অভিনেত্রী মাইলি সাইরাস ও অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা লিয়াম হেমসওয়ার্থের। এখন তারা দু’জনেই ‘সিঙ্গেল’। মাইলিকে ঘিরে হতাশার আরও একটি খবর হলো, এবার গ্র্যামিতে তার বাবা ও বোন আমন্ত্রণ পেলেও পাননি তিনি। সব মিলিয়ে দারুণ দুর্দশার মধ্যেই আছেন তিনি। এর আগে বিয়ের বছর না ঘুরতেই বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন ২৭ বছর বয়সী মাইলি সাইরাস ও ৩০ বছর বয়সী লিয়াম হেমসওয়ার্থ। তারা বিয়ে করেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। দশ বছর প্রেম করে তাদের সংসার জীবন শুরু করলেও তা টিকে থাকেনি দশ মাসও। ২০১৯ সালের আগস্টেই তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। ‘দ্য হাঙ্গার গেমস’ অভিনেতা হেমসওয়ার্থ ও মাইলির সম্পর্ক এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়েই এগিয়েছে। এই তারকাদ্বয়ের প্রথম পরিচয় হয়েছিল রোমান্টিক ড্রামা ‘দ্য লাস্ট সং’ (২০১০) সিনেমার শুটিং সেটে। তারপর ২০১২ সালে একবার বাগদান হওয়ার পরও মনোমালিন্যের কারণে সেটা ভেঙে যায়। এরপর ২০১৫তে মিলে যান তারা। তারপর আবারও বাগদানের ঘোষণা দেন। অবশেষে বিয়ে করেন ২০১৮’র ডিসেম্বরে। তারপর বিচ্ছেদ ২০১৯’র আগস্টে। তবে সম্পর্কটা এবার একেবারেই চুকে গেল হয়তো।
মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলসের একটি আদালত তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের চূড়ান্ত ঘোষণা দেন। এদিকে ২০২০ সালের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসে বাবা বিলি রে সাইরাস ও বোন নোয়াহ অংশ নিলেও অনুপস্থিত ছিলেন পপ তারকা মাইলি সাইরাস। স¤প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে তাতে লেখেন, যে কারণে আমাকে আর অ্যাওয়ার্ড শোতে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। ভিডিওতে দেখা যায়, হাজার হাজার দর্শকের সামনে মঞ্চেই মাদক গ্রহণ করছেন মাইলি। ২০১৩ সালে এমটিভি ইউরোপ মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের সময় এমন ঘটনা ঘটান তিনি। সেখানে মঞ্চে দাঁড়িয়েই ধূমপান করেন এ পপ তারকা। এতকিছুর পরও মাইলি সাইরাস কীভাবে পরিস্থিতি কাটিয়ে নিজেকে ফেরাবেন তা সময়ই বলে দেবে।