জ্বালানির সদ্ব্যবহার ও সংরক্ষণে দক্ষতা বৃদ্ধি জরুরি

9

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রথম মিশন স্থাপন করেছে জাপান। জাপান বাংলাদেশের অন্যতম অকৃত্রিম বন্ধু, যা তারা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে উৎপাদন, ব্যবসাসহ সবক্ষেত্রে জ্বালানির সদ্ব্যবহার এবং সংরক্ষণে দক্ষতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। জাইকার প্রকল্প অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং এই অর্থায়ন থেকে প্রদত্ত ঋণ যাতে সহজে বেশি সংখ্যক উৎপাদনমুখি শিল্পের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্রæত বিতরণ করা যায়, সেই জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহŸান জানাচ্ছি। গতকাল মঙ্গলবার আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই), বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই) এবং জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গনাইজেশন (জেটরো) বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে “জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ বৃদ্ধি কার্যক্রমে জাইকার দুই ধাপের অর্থায়ন প্রকল্প” শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমএ লতিফ এমপি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, বাংলাদেশে ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে ৪০-৪৫ শতাংশ জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। ব্যবসায়ীদের কস্ট কম্পিটিটিভনেস বাড়াতে এনার্জি সেক্টরে দক্ষতা বৃদ্ধি জরুরি এবং এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরাও আগ্রহী। অনেকেই ইতোমধ্যে এই বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তবে সার্বিকভাবে এর সুফল পেতে হলে ব্যবসায়ীদের জ্বালানি ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ সুবিধা প্রয়োজন। তাই স্বল্পসময়ে এই প্রকল্পের আওতায় ঋণ সুবিধা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান তিনি।
জেটরো’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইওজি আন্দো বলেন, জাপান এবং বাংলাদেশ একে অপরের নিকটতম বন্ধু। জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থিত জাপানের ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা আরো সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী। পাশাপাশি জেটরো দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে চিটাগাং চেম্বারের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেছে। ষ পৃষ্ঠা ২, কলাম ১.
ষ প্রথম পৃষ্ঠার পর
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, এসএম আবু তৈয়ব ও মো. এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বিজিএমইএ’র পরিচালক মেহেরাজ ই মোস্তফা, চট্টগ্রামে বিডার পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, কর্ণফুলী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক এম এনামুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ সাইফুর রহমান, কাস্টম হাউসের জয়েন্ট কমিশনার তাফসির উদ্দিন ভূঁইয়া, নাসিব’র সভাপতি মো. নুরুল আজম খান, বেপজিয়া’র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন ফরহাদ, প্রান্তিক গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম সারওয়ার, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হোসেন ইমাম, লুব-রেফ’র পরিচালক মো. সালাউদ্দিন ইউসুফ।
সেমিনারে শিল্প কারখানায় জাইকার অর্থায়ন বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিনিয়োগ ও আর্থিক বিশেষজ্ঞ তাকেশি কিকুকাওয়া, প্রজেক্ট ম্যানেজার মারি ইওয়াতা ও শিল্প খাত বিশেষজ্ঞ মাসাকি এবিনা।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), মো. ওমর ফারুক, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এস এম তাহসিন জোনায়েদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম) সহ ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।