জেলেদের সাগরযাত্রা সুগম হচ্ছে মধ্যরাতে

33

নানা প্রজাতির মাছের আধার বঙ্গোপসাগরে প্রজনন মৌসুমে মাছ আহরণে একটানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত ১২ টায় শেষ হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে মাছ আহরণে নিয়োজিত জেলেদের সাগরযাত্রার পথ ফের সুগম হচ্ছে। দীর্ঘ বিরতিতে বোট আর জাল মেরামত করেই সময় কাটিয়েছে চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে বসবাসকারী জেলেরা। ইতিমধ্যে মাছ আহরণে ফের সমুদ্রযাত্রার চূড়ান্ত প্রস্তুতিও তারা শেষ করেছে।
মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলসীমায় ইলিশ, কোরাল, রূপচাঁদা, লইট্ট্যা ও
চিংড়িসহ নানা প্রজাতির মাছের মজুদ রয়েছে। মাছের প্রজননের ভরা মৌসুমে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মত গত ২০ মে থেকে টানা ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সকল প্রজাতির মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদকাল নিয়ে সাধারণ জেলেসহ বিভিন্ন মহলে মতভিন্নতা থাকলেও সরকার তাতেই অনড় থাকে। সেই হিসেবে আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত ১২টায় এই নিষেধাজ্ঞায় মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
নগরীর ফিশারীঘাট ও কাট্টলী এলাকার উপকূলীয় জেলেপাড়ার বাসিন্দারা নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পেরিয়ে সাগরে মাছ আহরণে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে তারা তাদের জাল ও ফিশিং ট্রলার মেরামতসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। সরকারি হিসাবে, প্রতিবছর দেশে প্রায় দুই লাখ মেট্টিক টন হারে মাছের উৎপাদন বাড়ছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রায় ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে সামুদ্রিক উৎস থেকে এসেছে প্রায় ১৬ ভাগ। সামুদ্রিক উৎস থেকে মাছের উৎপাদন আরো বাড়াতে সরকার বঙ্গোপসাগরে মাছের প্রজনন মৌসুমে এবছর টানা ৬৫ দিন সব ধরণের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। #### তুষার দেব।