জামেয়া জমহুরিয়া ফাযিল মাদ্রাসা কাউছার উদ্দীন মালেকী

13

 

বারখাইন জামেয়া জমহুরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানাধীন ৬ নং বারখাইন ইউনিয়নের স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান। যেটি আলোকিত মানুষ গড়ার বাতিঘর হিসেবে সমধিক পরিচিত। এ প্রতিষ্ঠানে কুরআন, হাদিস, ফিকাহ এবং অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয়ের অধ্যয়ন সহ ইসলামিক জ্ঞান বিজ্ঞানের শিক্ষা প্রদান করে। গ্রামের স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আদব-আখলাক শেখার জন্য স্বনামধন্য। এই প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত। প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্র ছোবহানিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা জুলফিকার আলী। প্রতিষ্ঠানটি বহু জ্ঞানী গুণী, আলেম-ওলামা, বুদ্ধিজীবী, মনীষী, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী তৈরি করেছে। জ্ঞান অন্বেষণের পাশাপাশি আদর্শ মানুষ গড়ে তোলার জন্য এই প্রতিষ্ঠানের নিত্যদিনের রুটিন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক দাখিল, ১৯৯৬ সালে আলিম এবং ২০১৭ সালে ফাযিল পর্যায়ে স্বীকৃতি লাভ করে।
মাদ্রাসার একটি খোলা প্রাঙ্গণ, মসজিদ, পুকুর, আইটি কক্ষ, গ্রন্থাগার ও ছাত্রদের জন্য বহুতল বিশিষ্ট দুটি ছাত্রাবাস রয়েছে। চট্টগ্রামের বরেণ্য রাজনীতিবিদ মরহুম আতাউর রহমান খান কায়সার ও তার পরিবারবর্গ, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ও সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম সহ বহু রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক এ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটি দাখিল থেকে আজ ফাযিল পর্যায়ে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক শওকী ও শিক্ষকমন্ডলী এবং এলাকাবাসীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠানটি আজ সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে একটি সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে। ২০০২ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার সুবাদে যা দেখার সুযোগ হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের আপন সন্তানের মত পরম মায়া মমতা দিয়ে পড়াশুনা শেখায়।