জাপানে করোনা পরীক্ষা সহজ করছে ভেন্ডিং মেশিন

16

জাপানে বাস্তব সুবিধাই অগ্রগণ্য এবং করোনা-ভাইরাসের পরীক্ষা করা যথেষ্ট ঝামেলার। এই সমস্যা সমাধানের অংশ হিসেবে টোকিও শহরের নিত্য প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার কাজে লাগছে ভেন্ডিং মেশিন। মানুষের শ্রম ও হাসপাতালের সামর্থ্য সংরক্ষণ করতে জাপান সরকার প্রতিদিন মাত্র ৪০ হাজার পিসিআর টেস্ট করছে। মোট সামর্থ্যের মাত্র ২৫ শতাংশ ব্যবহার করছে তারা। এর ফলে উপসর্গ ও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষ ছাড়া বাকিদের পরীক্ষা করা হচ্ছে না। এর ফলে মানুষ বেসরকারি ক্লিনিক বা যেকোনও উপায়ে পিসিআর টেস্ট করাতে চাইছে। ভেন্ডিং মেশিনে টেস্ট কিট বিক্রির ফলে ক্রেতা বা ভোক্তাদের ক্লিনিকের লাইন ও সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন লেকটাউন টাকেনোকো এয়ার নোজ অ্যান্ড থ্রোট ক্লিনিকের পরিচালক হিদেকি তাকেমুরা। এই ক্লিনিকের পক্ষ থেকে বৃহত্তর টোকিও এলাকায় সাতটি ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। তাকেমুরা বলেন, জাপান আশ্চর্যজনক কম সংখ্যায় পিসিআর টেস্ট করছিল। এতে অনেক বেশি মানুষ বুঝতে পারছিলেন না তারা করোনায় আক্রান্ত নাকি জ্বর হয়েছে। পিসিআর টেস্ট ছাড়া কোনও পরীক্ষা সম্ভব না। ফলে অনেক বেশি মানুষ যাতে দ্রæত পরীক্ষা করতে এবং তাড়াতাড়ি আইসোলেশনে যেতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আমার ভেতরে কিছু একটা করার তাগিদ ছিল। প্রথম ভেন্ডিং মেশিনে যখন টেস্ট কিট রেখে স্থাপন করা হয়, মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। কয়েকটি মেশিন থেকে দিনে দুবার টাকা খালি করতে হয়েছে।