চিলির রাজপথে ১০ লাখ বিক্ষোভকারী

19

চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরার পদত্যাগ ও দেশটির অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবিতে রাজপথে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। প্রথমে মেট্রোর ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হলেও পরে এর সঙ্গে সরকারের পদত্যাগের দাবি যুক্ত হয়। বিগত এক সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী সান্তিয়াগোতে শুক্রবারের বিক্ষোভই ছিল সবচেয়ে বড়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।লাতিন আমেরিকার সম্পদশালী দেশগুলোর অন্যতম চিলি। তবে দেশটিতে ধনবৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। রাজধানী সান্তিয়াগোতে ক্রমাগত বাড়ছে জীবনযাপনের ব্যয়। সে কারণেই জোরালো হয়েছে অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবি।
প্রথমে মেট্রোর ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হলেও বিক্ষোভ থামেনি। বরং তা আরও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ ও অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ পদচারণায় প্রকম্পিত হয় নগরীর কয়েক মাইল পথ। সে সময় জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করে পিনেরার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় তারা। সান্তিয়াগোর গভর্নর কার্লা রুবিলার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এটিকে ‘ঐতিহাসিক মূহুর্ত’ হিসেবে অভিহিত করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা স্বপ্নময় নতুন চিলির প্রতিনিধিত্ব করে।’ রুবিলার আরও বলেন, দেশব্যাপী ১০ লাখেরও বেশি লোক বিক্ষোভে অংশ নিতে রাজপথে নেমে আসে। কেবলমাত্র রাজধানীতে প্রায় আট লাখ ২০ হাজার লোক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট পিনেরা টুইটারে এক বার্তায় লিখেছেন, আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হওয়ায় তিনি অনেক খুশি। তিনি বলেন, ‘আমাদের সব কিছু পরিবর্তিত হচ্ছে। আজকের আনন্দ ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে জনগণ ন্যায়ভিত্তিক ও ঐক্যবদ্ধ চিলির আহŸান জানিয়েছে, যা ভবিষ্যতে স্বপ্নের পথ খুলে দেবে।’ বিক্ষোভকারীদের একজন ৩৮ বছর বয়সী ফ্রান্সিস্কো অ্যানগুইটার। তিনি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার, সততা ও দুর্নীতিমুক্ত সরকারের দাবি জানাচ্ছি।’ ১৯৯০ সালে একনায়ক আগুস্তে পিনোশের ক্ষমতা শেষে চিলিতে গণতন্ত্র ফিরে আসার পর এ বারই প্রথম সান্তিয়াগোর রাজপথে এটাই বড় বিক্ষোভ। এ বিক্ষোভে চিলির মোট জনগণের ৫ শতাংশ হাজির হয়েছে জানিয়েছে বিবিসি।