চন্দনাইশ দোহাজারী পৌরসভা কার্যালয় তালাবদ্ধ

203

চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা কার্যালয় ২য় দফা লকডাউনের ঘোষণার পর থেকে তালাবদ্ধ থাকায় জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দোহাজারী পৌরবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২১ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে অফিসে কাউকে পাওয়া যায়নি। ফলে জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দোহাজারী পৌরসভার নাগরিকরা। সেবা নিতে আসা নাগরিকদের মধ্যে সামশুদ্দীন তার ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে ভর্তি জন্য জন্ম নিবন্ধন ও তার স্ত্রীর মৃত্যু সনদ নিতে এসে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে না পেয়ে রাগে ক্ষোভে চলে যান। ৩নং ওয়ার্ডে মো. সিহাম জাতীয়তা সনদ নিতে আসে, ৪নং ওয়ার্ডে আবদুল রহিম, ৯নং ওয়ার্ডের গৌতম দাশ কর দিতে এসে দিতে পারেনি। ব্যবসায়ী মো. এয়াকুব ব্যবসায়ীক ট্রেড লাইসেন্স নিতে এসে নিতে পারেননি। এদিকে গত ১ এপ্রিল ১৩ টি উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার বক্স ওপেন করে অদ্যবধি লটারি না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে আসা ৭-৮ জন ঠিকাদার হতাশ হয়ে ফিরে যায়। অথচ এ কার্যালয়ে পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। চন্দনাইশ পৌরসভার সচিব মো. মহসিন অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া ১ জন সহকারী প্রকৌশলী, ১ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ১ জন হিসাব রক্ষক, ১ জন লাইসেন্স পরিদর্শক, ১জন কর আদায়কারী থাকলেও কেউ অফিসে ছিল না। এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী শ্যামল চন্দ্রের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লকডাউনে তিনি অফিসে যাবেন না। আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অফিসে কোন জরুরি কাজেও তিনি আসবেন না। প্রয়োজনে পৌর প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেছেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী সচিব মো. মহসিন বলেন, জরুরি সেবা হিসেবে পরিস্কার পরিচ্ছনতা কর্মী, বৈদ্যুতিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিসহ অফিস খোলা থাকার কথা রয়েছে। গত ১ এপ্রিলে টেন্ডার বক্স ওপেন করার পর যাচাই-বাচাই করতে সময় লেগেছে। তাই আগামী ২৮ এপ্রিলের পর ১৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের লটারি করা হবে বলে তিনি জানান। পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন বলেছেন, অফিস বন্ধ রাখা যাবে না। তবে কেন বন্ধ ছিল, জরুরি সেবার লোকজন কেন নাই। এব্যাপারে তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানান।