চন্দনাইশে ১ হাজার ৯৫০ হে. জমি বিভিন্ন মৌসুমে অনাবাদি থাকে

13

মো. শাহাদাত হোসেন, চন্দনাইশ

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এক খন্ড জমিও অনাবাদি থাকতে পারবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু চন্দনাইশে সারা বছর ৪’শ হেক্টর এবং মৌসুম ভিত্তিতে ১ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর জমি অনাবাদি থেকে যায় বলে কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়। চন্দনাইশে ১০ হাজার ৩’শ ৬ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। তবে রবি মৌসুমে ৭’শ হেক্টর, খরিপ-১ আউশ মৌসুমে ১ হাজার হেক্টর, খরিপ-২ আমন মৌসুমে ২’শ ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ না হওয়ার কারণে অনাবাদি থেকে যায়। ফলে খাদ্য উৎপাদনে পিছিয়ে পড়েন কৃষকেরা। চন্দনাইশে ৭ হাজার ৮’শ কৃষি পরিবারের মধ্যে ৩০ হাজার ৩’শ ৩৩ জন কৃষক রয়েছে। এ সকল কৃষকের উৎপাদিত ধান, শাক-সবজি, পেয়ারা, লেবু, আনারস, কাঠাঁলসহ বিভিন্ন উৎপাদিত শাক-সবজিও ফল-মূল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে। কিন্তু চন্দনাইশের এ বিশাল অনাবাদি জমি প্রতি মৌসুমে আবাদের আওতায় আসলে আরো বেশি উৎপাদনে কৃষকেরা সক্ষম হবে।
চন্দনাইশ উপজেলার বিজিসি ট্রাস্টের অধীনে ৪’শ একর জমির মধ্যে এক তৃতীয়াংশ সারা বছরই অনাবাদি থেকে যায়। একইভাবে উপজেলার সূচিয়া, পৌরসভার হারলা, সাতবাড়িয়া, বৈলতলী, দোহাজারী, ধোপাছড়ি, বরমাসহ বিভিন্ন এলাকায় কিছু কিছু ধানী জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। ফলে এ সকল ধানী জমিতে ঘাসে ভরপুর হয়ে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেছেন, চন্দনাইশে রবি মৌসুমে ৭’শ হেক্টর, খরিপ-১- এ ১ হাজার হেক্টর, খরিপ-২-এ ২৪৫ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে। সারা বছরই ৪’শ হেক্টর জমি অনাবাদি থেকে যায়। এর মধ্যে বিজিসি ট্রাস্ট এলাকা, সূচিয়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সারা বছরই এসব জমিতে চাষাবাদ হয় না। তাছাড়া খরিপ-১ -এ পানির সংকটের কারণে ১ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে। অপরদিকে অতি বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতার কারণে খরিপ-২-এ ২৪৫ হেক্টর জমি অনাবাদি থেকে যায়। বর্তমান সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এ সকল অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
যেমন- খাল খনন, পানি সংরক্ষণ, এলএলপি ব্যবহার, স্বল্প পানির প্রয়োজন ব্যবহার করে খরা সহিষ্ণু ও জলবদ্ধতা সহিষ্ণু জাতের ফসল ব্যবহার করে চাষের আওতায় আনার চেষ্টা করা যাচ্ছে। তাছাড়া যেসকল বড় বড় কৃষকদের জমি অনাবাদি আছে তাদেরকে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে চাষাবাদের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। অন্যথায় এ সকল জমির মালিককে বিনামূল্যে সার, বীজ ও কৃষি উপকরণ দিয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী।