কাদায় সড়ক বেহাল, জনদুর্ভোগ চরমে

43

মো. শাহাদাত হোসেন, চন্দনাইশ

চন্দনাইশে ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ব্যস্ততম সড়ক ধোপাছড়ি গোলার পাহাড় হয়ে চেমিরমুখ সড়কটি ক্ষত-বিক্ষত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জরুরিভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়ির সাথে বান্দরবানের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম গোলাপাহাড় হয়ে চেমিরমুখ সড়ক। চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে সড়কটি কাঁদামাটিতে এশাকার হয়ে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ব্রিজটি পার হয়ে ধোপাছড়ি ইউনিয়নের চেমিরমুখ সড়ক দিয়ে সহজ যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু সড়কটি কাঁচা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে কদমাক্ত হয়ে পড়ে। সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে থাকে ধোপাছড়ি ইউনিয়নে। ফলে জনগণ গোয়ালিয়াখোলা ব্রিজ দিয়ে বান্দরবান জেলার রেইচা হয়ে সাতকানিয়ার বাজালিয়া-কেরানিহাটে যাতায়াত সহজীকরণ হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, অসংখ্য ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হয় এ সড়ক দিয়ে। শুকনো মৌসুমে সড়ক দিয়ে সহজে যাতায়াত করা গেলেও গোয়ালিয়াখোলা ব্রিজ থেকে গোলারপাহাড় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়কটি কাঁচা হওয়ায় বর্ষাকালে যাতায়াত প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ভারী যানবাহন তথা বালিভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে বর্তমানে সড়কটি যাতায়াতের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতার ৫১ বছরেও সড়কটি সংস্কার করা হয়নি বলে দাবি এ অঞ্চলের সচেতন মানুষদের। ধোপাছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবদুল আলীম জানান, গোয়ালিখোলা ব্রিজ উদ্বোধনের পর সড়কপথে চেমিরমুখ সড়ক দিয়ে ধোপাছড়ি ইউনিয়নে প্রবেশ অনেকটা সহজ হয়েছিল। প্রয়োজনীয় মুহুর্তে মুমুর্ষ রোগীদের গাড়িতে করে চট্টগ্রাম নগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত নেয়া সম্ভব হতো। বর্তমানে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এ ইউনিয়নের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তিনি আরো জানান, বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী ধোপাছড়ির সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান সড়ক এবং দোহাজারী-চৌকিদার ফাঁড়ি-মাস্টারঘোনা-চিরিংঘাটা-ধোপাছড়ি সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। দোহাজারী-চৌকিদার ফাঁড়ি-মাস্টারঘোনা-চিরিংঘাটা-ধোপাছড়ি সড়কে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জিরোবুক ব্রিজ (গার্ডার ব্রিজ) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। যার নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। এরমধ্যে ধোপাছড়ি ইউনিয়নের চেমিরমুখ সড়কের মাত্র ১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হলে ইউনিয়নের অধিবাসীরা সহজে সড়কপথে যাতায়াত করতে পারতেন। এ বিষয়ে তিনি সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সাবেক মেম্বার মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী মাস্টার বলেছেন, গোয়ালিয়াখোলা ব্রিজ হওয়ার পর সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। ধোপাছড়ির মানুষ বিশেষ করে বড়ুয়াপাড়া, হিন্দুপাড়া, গুংগুরু এলাকার বাসিন্দারা বেশি উপকৃত হয়েছিল। সড়কটি কাঁচা হওয়ায় বর্ষাকালে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে। এর মধ্যে শত বালিবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে পুরো সড়কটিই বড় বড় গর্ত ও কাঁদা ময়লায় একাকার হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য বিকাশ কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, গোয়ালিখোলা ব্রিজ চালু হওয়ার পর থেকে বালি, বাঁশ, কাট, সবজি বাহী বড় বড় ট্রাক চলাচল করায় সড়কটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, গোয়ালিয়াখোলা ব্রিজের মুখ হতে নতুন সড়কের টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা হবে। ইতোমধ্যে ওয়ার্ক অর্ডারও দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।