কাগতিয়া মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিকে বিলুপ্ত করল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

197

অবশেষে আন্দোলনের মূখে কাগতিয়া মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। গত বৃহস্পতিবার বর্তমান কমিটিকে বিলুপ্ত করে এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জাড়ি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রজ্ঞাপনে কাগতিয়া মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালনা কমিটিকে বিলুপ্তি দেখিয়ে আগামি ১০ কার্য দিবসের মধ্য এডহক কমিটির গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সভাপতি ও রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগকে বিদ্যুৎসাহী সদস্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্য সদস্যদের নামও ১০ কার্য দিবসের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরন করতে বলা হয়। এ প্রজ্ঞাপনটি গত বৃহস্পতিবার রাউজানের আন্দোলনকারীদের ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এতে তাদের দাবী মুনিরীয়ার ভন্ডামীর যেই আন্দোলন চলে আসছে। এতে তারা এটাকে প্রাথমিক বিজয় হিসেবে মন্তব্য করছেন। তবে এ বিষয়ে আন্দোলনকারীর একজন রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, আমরা মুনিরীয়ার কার্যক্রম নিষিদ্ধ, মুনির উল্লাহকে অধ্যক্ষ পদ থেকে গ্রেপ্তার পূর্বক বহিস্কার, মাদ্রাসার নামে হাজার কোটি টাকা অধ্যক্ষের লুটপাট করে নিজের নামে অঢেল সম্পত্তি¡র জব্দ না করলে আরো কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাব। তবে মাদ্রাসা কমিটিকে বাতিল করায় তিনি এটি প্রাথমিক সফলতা বলে তিনি মনে করেন। উল্লেখ্য, ভন্ডামির অভযোগে এলাকা বিতারিত মুনিরীয়ার সভাপতি ও কাগতিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুনির উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগের পর গত ২৪ জুলাই এলা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ৫ সদস্যের তদন্ত দল কাগতিয়ায় এসেছে।
তদন্ত দলের কাছে প্রেরিত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অভিযোগ ছাড়াও আরো নানা অভিযোগের পাহাড় পড়ে। অনেক অভিযোগ তাদের এখতিয়ারে না থাকায় দুদককে অবহিত করার কথা বলেন। এতে এসব অভিযোগের একাধিক ঘটনার সত্যতা পেয়ে হতভম্ব তদন্তকারী দল। তদন্তকারী দলের কাছে এলাকার শতশত নারী পুরুষ ছাড়াও নগরীর বায়োজিদে মানুষের জায়গা জবর দখল, হামলা মামলার শিকার একাধিক মানুষ এবং তার আপন দুই বড় ভাই মোহাম্মদ উল্লাহ ও হাবিব উল্লাহ মুনির উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
তবে এসব অভিযোগের সত্যতার প্রমান হিসেবে মৌখিক ও লিখিত ভাবে দিয়েছেন মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধারা। এদের মধ্য শিক্ষকদের কাছ থেকে মুনির উল্লাহ সরকারী বেতন থেকে পাওয়ার অর্ধেক কেটে রাখার অভিযোগের সত্যাতা নিরুপন করেন। তদন্ত দলের কাছে প্রশ্ন রেখে মুনির উল্লাহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লায়ন সাহাবুদ্দিন আরিফ বলেন, একজন পীর দাবীদার মুনির উল্রাহ শিক্ষকদের থেকে বেতনের টাকা কেটে রাখার পর তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে থাকার যোগ্যতা রাখে না। তিনি নিজেকে বড় পীর বুজুর্গ বলার জন্য ইসলামী নানা পদবী ব্যবহার করে সমাজে অশান্তি, কলহ সৃষ্টি করছে। যার কারনে প্রায় সময় ঘটছে হামলা মামলার মত ঘটনা। এতে এমন কোন অপকর্ম নেই যা এই ভন্ড মুনির উল্লাহর ইন্দনে হয়নি। তাই এই ভন্ডের শান্তি দিয়ে আমাদের ইউনিয়নকে কলঙ্ক মূক্ত করুন। তবে এ তদন্তের পর গত গত বৃহস্পতিবার কাগতিয়া মাদ্রাসা কমিটিকে বিলুপ্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।