কর্ণফুলীতে সদরঘাট সাম্পান মালিক ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতির বিরোধ

11

কর্ণফুলী প্রতিনিধি

কর্ণফুলীতে সদরঘাট সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতির সাথে সমাজসেবা থেকে অনুমোদনের নামে নতুন করে গড়ে উঠা সাম্পান শ্রমিক সমিতির বিরোধ চরমে উঠেছে। ঘাটের আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যেকোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সঠিক সময়ে অডিটে সহযোগিতা না করা ও নিক্রিয় হয়ে পড়ায় ৯ বছর আগে ২০১২ সালে বিলুপ্ত করা হয় সদরঘাট সাম্পান শ্রমিক কল্যাণ সমিতি। পরে একই নামে সংগঠনটির পুনরায় ফেরত পেতে চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয় সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে ২০১৭ সালে সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতি নামে সমাজসেবা থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে নতুন করে যাত্রা শুরু হয় সংগঠনটির। এদিকে ২০১২ সালে বিলুপ্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নামে সাম্প্রতিক সময় থেকে দুই ব্যক্তি নীতিমালা উপেক্ষা করে পূনরায় রেজিস্ট্রেশন ফেরত নেয়ার চেষ্টা ও ঘাটে আধিপত্য বিস্তারের চোর প্রচেষ্টা চালায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে বলে জানা গেছে। দুই পক্ষের বিরোধের মাঝে গত ২৬ অক্টোবর ঢাকাস্থ মন্ত্রণালয়ে সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এর সাথে দেখা করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদরঘাট সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, সমাজ কল্যাণ সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সমাজসেবা অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন। সবশেষ গত ২৬ অক্টোবর সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর সাথে ঢাকাস্থ মন্ত্রণালয়ে দেখা করে লিখিত আবেদন দাখিল করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন। সদরঘাট সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, বিলুপ্ত কমিটির সদস্য ছিলেন আবুল কালাম প্রকাশ কালা মিয়া ও ছালামত খান। এ বিষয়ে আবুল কালাম প্রকাশ কালা মিয়া বলেন, আমি সংগঠনের সদস্যদের স্বার্থে সংগঠনটিকে সচল করেছি। আমি সংগঠন ও সদস্যদের স্বর্থে কাজ করছি। ২০১২ সালে সাম্পাদক শ্রমিক কল্যাণ সমিতির বিলুপ্ত হওয়ার ঘটনা সঠিক জানিয়ে বলেন, তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলায়। সেখানকার কিছু উর্দ্ধতন কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ে আছেন। তাদের মাধ্যমে সংগঠনটিকে সচল করা হয়েছে। এখানে তার কোন ব্যক্তি স্বার্থ নেই। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিয়মের মধ্যে কিছু হবে না। অনিয়ম করে কেউ কিছু করতে পারবে না।