করোনায় মৃতদের কবর দেওয়ার অনুমতি পেলো শ্রীলঙ্কার মুসলমানেরা

7

করোনায় মারা যাওয়া মুসলমানদের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার বিতর্কিত বাধ্যতামূলক আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সফরের পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সভায় পাকিস্তানের সমর্থন চাইছে শ্রীলঙ্কা। করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর এই ভাইরাসে মৃতদের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার বাধ্যবাধকতা জারি করে শ্রীলঙ্কা।
দেশটির সরকারের দাবি মরদেহ সমাহিত করা হলে তা থেকে ভূগর্ভস্থ পানিতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে সমালোচকদের দাবি এই আদেশের উদ্দেশ্য ছিলো সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর আঘাত হানা। ইসলামে মরদেহ পোড়ানো নিষিদ্ধ হওয়ায় এর মাধ্যমে ধর্মটির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়েছে বলেও দাবি করেন অনেকে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এক সফরের পর বিতর্কিত ওই আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে শ্রীলঙ্কায় মুসলিম নিপীড়নসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। ওই অধিবেশনে পাকিস্তানের সমর্থন পেতে চাইছে শ্রীলঙ্কা। ২৬ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে নিহত প্রায় এক লাখ তামিল সংখ্যালঘুকে হত্যায় দায়ীদের বিচার এবং মানবাধিকার হরণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ বাড়াতে চায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। তবে এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে শ্রীলঙ্কা। মানবাধিকার কমিশনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে তারা। মুসলমানদের মরদেহ পোড়ানোর আদেশ দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রবল চাপের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। এসব গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই আদেশের মাধ্যমে মুসলমান, ক্যাথোলিক এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী কয়েকটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে কলম্বো।