করোনার টিকা বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি

14

 

করোনার ভ্যাকসিন (টিকা) বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন ও এর কার্যক্রমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে করণীয় নির্ধারণ, ভ্যাকসিন বিতরণে তালিকা প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং কমিটিতে ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।
গতকাল গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, নগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান এ দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, লকড ডাউনকালে সরকার জেলা-উপজেলা পর্যায়েও কভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলে স্থানীয় প্রশাসন নিজেদের অনুগতদের নাম দিয়ে কমিটির তালিকা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করে। কিন্তু কার্যত এ কমিটি কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ ছিল। ত্রাণ, স্বাস্থ্যসুরক্ষা, চিকিৎসা, প্রণোদনাসহ করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমে এ কমিটির কোন তৎপরতা বা কার্যক্রম গ্রহণ বা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কিনা জানা যায়নি। অনেকে নিজের সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনকে বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি বানিয়ে কমিটি গঠন করেন। যার চূড়ান্ত পরিণতি এ কমিটি কাগজেই সীমিত থাকে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় জরুরি উপকরণ, পিপিই ও অন্যান্য কেনাকাটায় স্বাস্থ্যখাতে অবারিত দুর্নীতির ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে কার্যকর উদ্যোগ দরকার। এবারও করোনার ভ্যাকসিন বিতরণে ফ্রন্টলাইনারের তালিকা প্রণয়ন ও যোগ্য প্রকৃতদের হাতে টিকা পৌঁছানো সম্ভব কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। তাই কোন প্রকার স্বজনপ্রীতি, প্রভাবমুক্ত হয়ে প্রকৃতযোগ্যদের হাতে টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতে যে কোন মূল্যে অনিয়ম ও দুর্নীতিরোধে প্রযোজ্য আইন ও বিধি অনুসরণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, করোনা একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা বিগত ১ বছরে কোন সভা অনুষ্ঠান বা এ ব্যপারে কোন কার্যক্রম গৃহীত হওয়ার সংবাদ নেই।
ক্যাব নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক সময় কমিটিগুলি সরকারের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল লোকজন ও ব্যবসায়ীদের দেন-দরবারের আসর হিসাবে পরিণত হয়। সাধারণ ভোক্তাদের স্বার্থ এখানে উপেক্ষিত হয়। তাই জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলিতে ভোক্তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা না হলে তৃণমূলে জবাবদিহিতা, সুশাসন ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় সরকারের মহতী উদ্যোগুলির সুফল সাধারণ জনগণ পাবে না।