করোনাভাইরাস : ‘খুবই গুরুতর’ পরিস্থিতির মুখে ইউরোপ

13

ইউরোপে সপ্তাহেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৩ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউরোপীয় পরিচালক ড. হ্যান্স ক্লুগ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইউরোপ ‘খুবই গুরুতর’ পরিস্থিতির মুখে রয়েছে। এ অবস্থায় তিনি বিশ্বের দেশগুলোকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের নিয়ম থেকে এক পাও সরে না আসার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন কিংবা করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন এমন লোকজনকে বাড়িতে থাকা কিংবা অন্য কোনওখানে অবস্থানের ক্ষেত্রে ২ সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির ইউরোপীয় পরিচালক হ্যান্স ক্লুগ বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে ইউরোপের অর্ধেকেরও বেশি দেশে ১০ শতাংশেরও বেশি করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত মার্চে ইউরোপে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রথম যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল তার চেয়েও এখন ভাইরাস সংক্রমণে আরও উর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। সাপ্তাহিক ভাইরাস সংক্রমণের হিসাবে ইউরোপে গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। “আমরা খুবই গুরুতর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি”, বলেন ক্লুগ। ইউরোপের সাতটি দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া নতুন রোগীর সংখ্যা গত দু’সপ্তাহে দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
তার কথায়, যদিও করোনাভাইরাস পরীক্ষার কারণে রোগী শনাক্ত হচ্ছে বেশি, তারপরও এর মধ্য দিয়ে গোটা অঞ্চলজুড়ে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ভয়াবহতারও বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ইউরোপের কিছু দেশ করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেওয়া কিংবা করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা লোকজনের জন্য সেলফ আইসোলেশনে থাকার সময় কমাতে চাইছে। ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকা মানুষের জন্য কঠিন বিবেচনায় ফ্রান্স কোয়ারেন্টিনের সময় কমিয়ে ৭ দিন করার পক্ষপাতি। যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ড ১০ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক।