কমার্স কলেজ প্রাক্তন নেতাদের মিলনমেলা

139

গত ১২ ফেব্রূয়ারি চিটাগাং ক্লাব অডিটোরিয়ামে সরকারি কমার্স কলেজ চট্টগ্রামের ১৯৮০-৯০ এর এক দশকের স্বৈরাচর ও জামাত বিরোধী আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলির প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মিলন মেলা দেশে-বিদেশে অবস্থানরত তৎকালীন ছাত্র নেতাদের অংশগ্রহনে জাঁকজমক পূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৪টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত পরিচিতি সভা, স্মৃতিচারণ, আড্ডা, চা-চক্র, রাতের খাবার ও সংগীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে সফল ভাবে সম্পন্ন হয়। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান ছাত্রলীগের ১৯৮৪-৮৫ সালের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সদস্য সাইদুর রহমান চৌধুরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কমার্স কলেজ এর ছাত্র নেতা যথাক্রমে- দুইবারের নির্বাচিত বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী প্রদীপ দাশ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক, সিজেকেএস এর যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মহিউদ্দিন বাবলু, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের ১৯৭৭ সালের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, ১৯৮৬ সালের ছাত্রলীগের সভাপতি ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, সাবেক ছাত্র নেতা আহসান উল­াহ, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক মোঃ হোসেন, রাসেদ মোঃ আলী, রানা আমির, শামসুজ্জামান রিপন, কামাল আহাম্মদ, ১৯৮৬ সালের ছাত্র সংসদের জি.এস ফরিদ উদ্দীন কিসলু, সাবেক ছাত্র নেতা সালাহ উদ্দীন আহমদ, প্রফেসর ড. অভিজিৎ, সাবেক হাসান ইমাম চৌধুরী, ১৯৮৬ সালের ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক সামশুল আরেফীন, আনোয়ার হোসেন আনু, মঞ্জুরুল আলম, রাশেদুল আমিন, কুতুব উদ্দিন, ফরিদা ইয়াসমিন, রাফিউল হায়দার রফি, ১৯৮৯ সালের ছাত্র সংসদের ভি.পি কামাল হোসেন মিঠু, সাবেক কমার্স কলেজের ছাত্র নেতা ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র নেতা সীমান্ত তালুকদার সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন- শাহীন দিল নেওয়াজ খান শোয়েব, এস.এম তানভীর ও বেলাল হোসেন চৌধুরী। উপস্থিত সাবেক ছাত্র নেতাদের স্মারক উপহার হিসেবে নিজস্ব লগো সম্বলিত কোট পিন ও অন্যান্য উপহার সমূহ প্রদান করা হয়। ডিনার পর্ব চলাকালে সংগীত পরিবেশন করেন- ঢাকা থেকে আগত শিল্পী তামান্না প্রমি, চট্টগ্রামের শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ ও মুনমুন। এই মিলন মেলায় বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন পর এ ধরনের আয়োজনে এবং সহযোদ্ধাদের সাক্ষাত লাভে আবেগ আফ্লুত হয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং আয়োজকদের অনুরোধ করেন- এই মিলন মেলা যেন প্রতি বছর চালু রাখা যায়। বিজ্ঞপ্তি