এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর আলোচনা সভা

22

 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, স্বাধীনতা একক কোন ব্যক্তির ধারা সংঘটিত হয়নি। কারো অবদান অস্বীকার করে শুধু একজন ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা ইতিহাসের ভয়াবহ বিকৃতি। সরকারকে বিকৃত ইতিহাসের বয়ান থেকে অবশ্যই সরে আসতে হবে। এ সরকারের আমলে অসংখ্য সাংবাদিক ভাইয়ের ওপর নির্যাতন চলছে, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে আটক, সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা, সাংবাদিক হত্যা, অনেককে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা শুধু বিএনপির লোকেরা নই, সাধারণ মানুষও বাদ যাচ্ছে না।
নওগাঁর একজন মহিলা তিনি সরকারি কর্মচারী, কী কারণে তাকে র‌্যাব তুলে নিয়ে গেল এখন পর্যন্ত জানা যায়নি এবং তুলে নিয়ে যাওয়ার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে নির্যাতনে তিনি মৃত্যুবরণ করল, তাকে মেরে ফেলা হলো। এখন তারা বলছে যে, এটা ভুল হয়েছে। গত রবিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।
বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। তাই সবাইকে আন্দোলনের প্রস্তুতিত নিতে হবে। মামলা দিয়ে এ সরকার জনগণকে হয়রাণী করছে। সুলতানা জেসমিনের আটকের বিষয়টাই আইনের বড় ধরনের ব্যত্যয়। এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি। তিনি বলেন, সত্য প্রকাশ করতে পারবেন না। সত্য বলার কারণে প্রথম আলোর সাংবাদিকদকে জেলে যেতে হয়েছে। গণতন্ত্রের নামে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। ডাক্তার খুরশিদ জামিল চৌধুরী বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে মানুষের কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, ডাক্তার ইশা চৌধুরী, ডা. মোনায়েম ফরহাদ, এডভোকেট মফিজুর রহমান ভূঁইয়া, আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, জমির উদ্দিন নাহিদ।
উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার মোনায়েম ফরহাদ, রোটারিয়ান জসীম উদ্দীন, ডাক্তার তমিজ উদ্দিন মানিক, ডাক্তার বেলায়েত হোসেন ঢালি, এডভোকেট জালালুদ্দিন পারভেজ, মনোয়ারা বেগম মনি, এডভোকেট তৌহিদুল আলম, এডভোকেট আয়শা আক্তার মিতু, এডভোকেট আসমা খাতুন, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার সুমন, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনি প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি