ইসরায়েল থেকে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট যাচ্ছে আরব আমিরাতে

39

শান্তি চুক্তি ঘোষণার পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পদক্ষেপের সূচনা করে ইসরায়েল থেকে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। সোমবার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়ে ইসরায়েলি এল আল এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর থেকে তিন ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবিতে পৌঁছাবে, জানিয়েছে বিবিসি।
এমনতিতে ইসরায়েলি বিমান চলাচলের জন্য সৌদি আরবের আকাশসীমা নিষিদ্ধ থাকলেও এই ফ্লাইটটিকে তারা যাওয়ার অনুমোদন দিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটিকে স্বীকৃতি দিতে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্যের তৃতীয় আরব দেশ হতে যাচ্ছে ইউএই।
শনিবার ইসরায়েলকে অর্থনৈতিকভাবে বয়কটের একটি আইন বাতিল করে ডিক্রি জারি করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। ১৯৭২ সাল থেকে এতোদিন পর্যন্ত আইনটি বহাল ছিল। এর আগে ১৬ অগাস্ট দেশ দুটি প্রথমবারের মতো সরাসরি টেলিফোন লাইন চালু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দেশ দুটি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে, ১৩ অগাস্ট এক ঘোষণায় এ খবর জানানো হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত ছাড়া আরব আমিরাত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হওয়ায় হতাশ হয় ফিলিস্তিনিরা। ইউএই-র এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে এটি তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল বলে মন্তব্য করে ফিলিস্তিনিরা। ইউএই-র স্বীকৃতির বিনিময়ে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর নিজেদের দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছে।
ফিলিস্তিন পশ্চিম তীরকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ বলে মনে করে। আমিরাত বলছে, ইসরায়েলের এ প্রতিশ্রুতি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বিরাষ্ট্রীক সমাধানের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে।