ইসরায়েলকে ‘সহায়তা’ করায় জর্ডানে বিক্ষোভ

7

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরান থেকে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় গেল শনিবার। এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র যেন ইসরায়েল পর্যন্ত না পৌঁছে, সেই চেষ্টা করে জর্ডান। দেশটির নাগরিকেরা তাদের সরকারের এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেছেন। আত্মরক্ষার জন্য সেই চেষ্টা চালানো হয় বলে এক বিবৃতিতে জানায় জর্ডান সরকার। সরকার বিবৃতিতে বলে, এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র তাদের জনগণ ও জনবহুল এলাকার জন্য হুমকি ছিল। হুসেইন নামে দেশটির একজন রাজনৈতিক অধিকারকর্মী বলেন, জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত। বিপদের শঙ্কায় তিনি তার পুরো নাম উল্লেখ করতে চাননি। তিনি বলেন, এখানকার অনেকেই এটা মেনে নিচ্ছে না, আমরা ইরানকে সমর্থন করি না এবং গাজায় এখন যা ঘটছে তার পেছনে ইরানের বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করি। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন যেকোনো পদক্ষেপের সঙ্গে আমরা আছি।
মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি। জর্ডানের রানিসহ প্রতি পাঁচজনের একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। আম্মানের সামরিক বিশ্লেষক মাহমুদ রিদাসাদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য করা হয়েছে, তেমনটি বলা যাবে না, বরং জর্ডানের সার্বভৌমত্ব এবং আকাশসীমা রক্ষার জন্য করা হয়েছে। কারণ, ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় পড়বে, তা জানা যায় না।
এদিকে জর্ডান সহায়তা করেছে বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমে খুশির খবর প্রকাশ সম্পর্কে রিদাসাদ বলেন, এটি ইসরায়েলের প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয়। ব্রাসেলসভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশ্লেষক তাহানি মুস্তফা ডয়চে ভেলেকে জানান, শনিবারের ঘটনা নিয়ে জর্ডানের নাগরিকেরা বিভক্ত। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে জর্ডানের অর্থনৈতিক, ক‚টনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে মানুষ বিস্তারিত জানে না, কারণ এসব বিষয় নিয়ে এখানে বেশি লেখা হয় না।