ইমু-দস্তগীরের প্রতি অনাস্থা ৪৬ নেতার

65

স্বেচ্ছাচারিতা, কমিটি গঠনে কারও মতামত না নেওয়া, বিতর্কিত কর্মকান্ড ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে সংগঠন পরিচালনার অভিযোগ এনে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের ৪৬ নেতা। গতকাল শুক্রবার রাতে মহানগর ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন টিটুর সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আশরাফ উদ্দিন টিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের ৪৬ নেতা। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহানগর ছাত্রলীগের আওতাধীন পাঁচটি থানা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এসব কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা হয়নি। কমিটি গঠনের আগে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করার নিয়ম থাকলেও তা কখনও করেননি। মহানগর কমিটির নেতাদের মতামত নেওয়ার প্রয়োজনও মনে করেন না সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তারা বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্তে¡ও থানা কমিটিগুলোতে নানা অপকর্মে অভিযুক্ত, ছাত্রদল, শিবির থেকে অনুপ্রবেশকারীদের, মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রবাজদের স্থান দেওয়া হচ্ছে। তাদের দুইজনের একক ইচ্ছায় কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে মুজিবাদর্শের সংগঠন ছাত্রলীগকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছেন। তাদের এসব কর্মকান্ড প্রতিহত করার ঘোষণাও দেন অনাস্থা জ্ঞাপনকারী নেতারা। খবর বাংলানিউজের
অনাস্থা জ্ঞাপন করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. তালেব আলী, সহ-সভাপতি ফারুক ইসলাম, আবদুল খালেক, একরামুল হক রাসেল, মো. জয়নাল উদ্দীন জাহেদ, মইনুল হাসান চৌধুরী শিমুল, শাহীন মোল্লা, সৌমেন বড়ুয়া, আমজাদ হোসেন, দিদারুল আলম ও শহিদুল ইসলাম শহীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজুল করিম বিলাস, সুজন বর্মণ, অমিতাভ চৌধুরী বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল আলম জিকু, খোরশেদ আলম, সাইফুল ইসলাম, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক কবির আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন জেবিন, অর্থ সম্পাদক হাসানুল আলম চৌধুরী সবুজ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান কিরণ, ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক আবুল মনসুর টিটু, গণশিক্ষা সম্পাদক ওসমান গণি বাপ্পী, ছাত্র বৃত্তি সম্পাদক মিন্টু কুমার দে, সাহিত্য সম্পাদক হাসিব হাসান রুম্মান, স্কুল ছাত্র সম্পাদক মিয়া মো. জুলফিকার, নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক ফয়সাল বিন নিজাম, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক সাজ্জাদ আলী, রাসেল উদ্দীন তালুকদার, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ বিন ফয়সাল, উপ-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শেখ শরফুদ্দীন সৌরভ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক এস ইউ জোবায়ের, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক আবদুল আল মামুন, উপ-পরিবেশ সম্পাদক তুষার চন্দ্র ধর, উপ-ধর্ম সম্পাদক এম আর হৃদয়, উপ-যোগাযোগ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, উপ-নাট্য সম্পাদক মনির আলম, সহ-সম্পাদক সাব্বির সাকির, আবদুল্লাহ আল মামুন, জাকারিয়া হাবিব জাবির, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুর রহমান মুন্না, ইমাম উদ্দীন, ফাহাদ আসিফ, মমশাদ হোসেন রাব্বী ও আসিফ খান আরাফাত।
দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রূয়ারি) রাতে ডবলমুরিং ও চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। মহানগর ছাত্রলীগের নেতাদের অভিযোগ, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিজেদের অনগতদের দিয়ে কমিটি দিয়েছে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
সম্মেলন ছাড়াই সদ্য ঘোষিত ডবলমুরিং থানা ও চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে নগরের দেওয়ানহাট, চৌমুহনী মোড়, বহদ্দারহাট ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের একটি অংশ। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধও করে তারা।