আ.লীগে যোগ দিলেও সবার পদ পাওয়ার অধিকার নেই

63

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় সংগঠন। এখন আওয়ামী লীগের সুসময়। এ সময়ে অনেকেই আওয়ামী লীগে যোগ দিবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ২১ বছর যারা বুকে পাথর চেপে রেখে দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদেরকে নেতৃত্বে আনতে হবে। এসব কর্মীকেই আওয়ামী লীগে দরকার। আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার অধিকার সবার আছে কিন্তু পদ-পদবী পাওয়ার অধিকার নেই।
গতকাল বুধবার সকালে জামালখানে রিমা কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণতন্ত্রবন্দি দিবসের আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের যুগপূর্তিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সুযোগসন্ধানীদের দলীয় পদে বসানো যাবে না। দল পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। দলে সুযোগসন্ধানী, অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের কারণে দলের বদনাম হচ্ছে। দলে সুযোগসন্ধানীর দরকার নেই। আমাদের সেই কর্মী দরকার, যারা দলের জন্য অন্তঃপ্রাণ।
বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে রাজনীতি দেশসেবার ব্রত। বিপরীতে বিএনপির রাজনীতি হালুয়া-রুটির ব্রত। অনেকগুলো কাক নিয়ে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেছিলেন। চট্টগ্রাম শহরের রাস্তায় সকালে হালুয়া-রুটি ছিটিয়ে দিলে কাকের কিন্তু অভাব হয় না। তেমনিভাবে হালুয়া-রুটি ছিটিয়ে বিএনপি গঠন করা হয়েছিল। ২০০১ সালে বিএনপি নিয়ন্ত্রিত’ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল। তারা শুধু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে। ক্ষমতায় এসে সবকিছু লুটেপুটে খায়। তারা টানা কয়েকবার এদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে।
শেখ হাসিনাকে বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আনা উচিৎ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার হাতে না থেকে দেশ যদি জেলখানায় যিনি আছেন (বেগম খালেদা জিয়া) তার হাতে যায়, তাহলে দেশ আবারও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে। দেশ আবার পথ হারাবে।’
আওয়ামী লীগ সরকার ভিশন বাস্তবায়নের কাজ করছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচনী স্লোগান দিয়েছিলাম দিনবদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ দিনবদল করেছে। প্রতিটি মানুষের হাতে এখন মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৮ সালে সরকার গঠনের আগে তারুণ্যের সমৃদ্ধি ও গ্রাম হবে শহর স্লোগান দেয়া হয়েছে। এখন গ্রাম ও শহরের মধ্যে পার্থক্য খোঁজা যাবে না। ইতোমধ্যে সরকার গ্রামে শহরের মতো সকল সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে কাজ করছে। গ্রাম ও শহরের মানুষের মধ্যে পার্থক্য নেই।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের দুঃসময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আওয়ামী ক্ষমতায় আসার পর যারা দলে সম্পৃক্ত হয়েছেন আপনারা দলের দুঃসময়ে ছিলেন না। আজকে দলের সুদিন রয়েছে, এই সুদিন নাও থাকতে পারে। দলের দুঃসময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। নেতাকর্মীদেরকে ত্যাগী মনোভাব রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সুনীল সরকার ও ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।