ফারুকুল ইসলাম (হৃদয়)
আঠারো শতকের কবি আলী রজা বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য কবিগণ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কেননা তিনি ছিলেন একাধারে কবি, আধ্যাত্মিক সিদ্ধপুরুষ, সাধক, তাত্তি¡ক, সঙ্গীতজ্ঞ, বুজুর্গ পীর ও একজন কামেল আল্লাহর ওলী। বহুসংখ্যক গ্রন্থ, পদ, সঙ্গীত, কবিতা, নানাপ্রকার ছড়া রচনা করে সাহিত্য জগণকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি আধ্যত্মিক সাধক হিসেবে ও রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। স্বহস্তে আরবি, ফার্সি, উর্দু, হিন্দি, দেবনগরী, মধুরামী, সংস্কৃত, ও বাংলা ভাষায় জীবনতত্ত¡, নীতিতত্ত¡, ধর্মতত্ত¡ আত্মতত্ত¡মূলক অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেন তিনি। সাহিত্যিক জগতে তিনি আলী রজা নামে পরিচিত হলেও, বাংলাদেশের সুফী অঙ্গনে তাঁকে কানু নামেই সবাই চিনেন। তাঁর রচিত অধিকাংশ গ্রন্থ ও পাÐুলিপি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। যা সংগৃহীত হয়েছে তা নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। বিশিষ্ট সংবাদকর্মী ‘নাসির উদ্দীন হায়দার’ এর মতে আলী রজাকে নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণা করেছেন আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ, ড. অসিু কুমার বন্দোপাধ্যায়, শাহেদ আলী, ড. আহমদ শরীফ, ড. ডেবিড জি ক্যাসিন (কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তসংস্কৃতি ও মুসলিম স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর), এসএম আবদুল আলীম, জামাল উদ্দিন, শামসুল আরেফীনসহ অনেকে। বাংলা একাডেমির ফোকলোর উপবিভাগের সহপরিচালক সাইমন জাকারিয়ার মাধ্যমে আলী রজাকে নিয়ে আলোচনা হয় সুইডেন, আমেরিকা ও মরক্কোর বিভিন্ন সভা সেমিনারে। সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম তথা দেশের সুধী সমাজে কবি আলী রজার কাব্যপ্রতিভা ও তার সৃষ্টিসম্ভারকে নতুন করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গবেষক শামসুল আরেফীনের ভূমিকা অসামান্য।
আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ’র আওলাদ অর্থাৎ উত্তরাধিকারী ‘হাফেজ ক্বারী মৌলানা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন সিদ্দিকী’ এর সূত্রে জানা যায় তিনি প্রায় শতাধিক কিতাবাদি রচনা করেছেন। এছাড়া এক হাজারেরও অধিক ইসলাম ধর্মীয় দাওয়াত ও সাড়ে সাতশত সঙ্গীত রচনা করেন। এসকল কিছুর কিয়ুদংশ তাঁর উত্তরাধিকারী গণ ছাড়া ও বাংলা একাডেমি, কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় যাদুঘর সহ তাঁর অসংখ্য ভক্ত মুরিদগণদের নিকট বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তন্মধ্যে তার স্বহস্তে লিখিত ইসলাম ধর্মীয় দাওয়াত গুলো সুস্থতার নিয়তে ও বিপদ আপদ থেকে মুক্তির নিয়তে তাঁর মুরিদগণ কয়েকশ বছর ধরে এখনো পাঠ করে আসছেন। আর আধ্যাত্মিক সঙ্গীতগুলো ও পরম মমতায় তাঁর ভক্ত আশেকগণ পাঠ করে আসছেন। তাঁর রচিত কবিতা ‘মনের মহিমা’ ১৯৬৬-৬৭ ইং সনে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আলী রজার সবচেয়ে আলোচিত ও প্রশংসনীয় গ্রন্থ ‘জ্ঞানসাগর’। ১৩২৪ বঙ্গাব্দ তথা ১৯১৭ সালে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ কর্তৃক সম্পাদিত জ্ঞানসাগরের ভূমিকায় তিনি লিখেন ‘এই গ্রন্থের নাম “জ্ঞান সাগর”। ইহার এরূপ নাম হইল কেন, কবির মুখে তাহার কোন কৈফিয়ত না থাকিলেও গ্রন্থখানি যে অস্বর্থনামা হইয়াছে, তাহা উহার পাঠক মাত্রকেই স্বীকার করিতে হইবে। ইহা একখানি দরবেশী গ্রন্থ। ইহার প্রায় আদ্যোপান্ত নিগূর্ঢ আধ্যাত্মিক কথায় পরিপূর্ণ। সে আধ্যাত্মিকতায় আবার হিন্দু মুসলমানী ভাবের সংমিশ্রণ দেখা যায়। গুরুপদেশ ব্যতিরেকে এরূপ গ্রন্থের মর্ম পরিগ্রহ করা বা অন্যকে বুঝান সম্ভব নহে। আমরা অনধিকারী, ফকিরী পথের পথিক নহি। গ্রন্থের মূল প্রতিপাদ্য কি, তাহাও সহজে বুঝিয়া লওয়া কঠিন। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত অসম্পূর্ণ ‘জ্ঞানসাগর’ ড. আহমদ শরীফের বাঙলার সূফী সাহিত্য গ্রন্থে পুনর্মুদ্রিত হয়। অসম্পূর্ণ জ্ঞানসাগর পুনমূর্দণের পূর্বে উল্লিখিত আদ্যাংশ সেখানে উপস্থাপন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, অসম্পূর্ণ জ্ঞানসাগর’-কে সম্পূর্ণ করা। কিন্তু গ্রন্থটিতে আদ্যাংশটি সম্পূর্ণরূপে উপস্থাপিত হয়নি। যেখানে গিয়া তা শেষ হয়েছে মনে করা হয়, এর পরেও আরো অনেক লিখা অবশিষ্ট ছিল। সাহিত্যবিশারদ ও ড. শরীফের এ সম্পর্কে কোন রকম ধারণাই ছিল না! আলী রজার বর্তমান বংশধরদের কাছে সংরক্ষিত ‘জ্ঞানসাগর’-এর অনুলিপিতে পাওয়া যায় এর বাকি অংশ।
আলী রজার জ্ঞানসাগর নিয়ে দেশ-বিদেশে এখন পর্যন্ত প্রচুর গবেষণা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গবেষণা করেছেন ‘কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তসংস্কৃতি ও মুসলিম স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর’ “ডক্টর ডেবিড জি ক্যাসিন”। তিনি আলী রজার ‘জ্ঞানসাগরের’ ইংরেজি (The Ocean Of Love) অনুবাদ করেন। শুধু তাই নয় তার গবেষণা কাজকে এগিয়ে নিতে তিনি প্রায় ছয় বছর বাংলাদেশে ছিলেন এবং বাংলা ভাষা রপ্ত করেন। জ্ঞানসাগরের ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকায় তিনি লিখেন, ‘বাংলা সাহিত্যে মুসলিম দের অবদান কে খুবই কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, বিশেষত মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্যের সময়কালে। সেসময় মুসলিম কবিদের লিখিত পান্ডূলিপিগুলো তেমন সহজলভ্য ছিল না, কিন্তু যা পাওয়া যেত সেগুলোকেও তেমন গুরুত্বের চোখে দেখা হত না। এই পরিস্থিতি কে এখন পুনরায় বিবেচনায় আনা উচিত। আমি আশা করছি আমার এই গবেষণা ও অন্যান্য কাজ যা আমি করছি, তা বিশাল ও চিত্তাকর্ষক এই সাহিত্য জগৎ কে পশ্চিমা বিশ্বে তুলে ধরবে। আলী রজার সাহিত্য জগৎ কে তুলে ধরতে গিয়ে তিনি কড়া সমালোচনা করেন প্রখ্যাত গবেষক ‘ডক্টর এনামুল হকের’। ক্যাসিন বলেন, ‘এনামুল হক কর্তৃক রচিত “মুসলিম বাংলা সাহিত্য (প্রকাশকাল ১৯৬৫)” বাংলাদেশের মুসলিম কবিদের সাহিত্য নিয়ে রচিত হলেও এই বইটি ও পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে নয়। আলী রজাকে নিয়ে তার মন্তব্য ছিল মাত্র এক পৃষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
এই মহান কবি ও সাধক ১৭৫৯ ইং সালের ১৭ শ্রাবণ ১১৬৫ বাংলা ১০ রবিউস সানি রোজ সোমবার জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পীর শাজারাহ ও স্বরচিত কাব্য ‘আগম ৩য় খন্ড ও শাহনামায়’ তাঁর বংশ পরিচয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। শাহনামা’য় তিনি লিখেন
“পুরান পুরুষ মোর, সেই দেশেতে আসি
বসতি করিল হরষিত আসি”
হরষিত মূলত ভারতের ইউপি প্রদেশের হরিয়ানার পূর্ব নাম। তাঁর পূর্বপুরুষের মধ্য হতে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৫০৪ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম এদেশে আসেন ‘শেখ মিনা খাঁ আল কোরেইশি ‘তাঁর সন্তান ছিলেন’ হাজি শেখ মুহাম্মদ দৌলত খাঁ’। তাঁরা ‘আল্লামা জালালুদ্দিন রুমি’ হয়ে ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা) এর বংশধর। এর প্রমাণ শাহনামায় পাওয়া যায়। শাহনামায় আলী রজা লিখেন-
“এসকল হয় মোর পুরুষ পুরান
সিদ্দীকের বংশে জন্ম প্রভুর নির্মাণ
সকল পুরুষ পদে সালামো হাজার
মোহাম্মদ শাছি মোর জন্মদাতা সার”
আলী রজার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। তিনি সাত বছর বয়সে আপন পিতা হযরত শাহ্ সুফী খাজা নবাব শেখ মুহাম্মদ সাছি (র:)’র নিকট প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তি করেন। উচ্চশিক্ষার পূর্বেই তাঁর বাবা ইন্তেকাল করেন। তখন তাঁর মহীয়সী মাতা উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠান তৎকালীন মহান বুজুর্গ হযরত শাহ্ সুফি কিয়াম উদ্দীন আউলিয়া (র:)’র কাছে। শাহ কেয়াম উদ্দীন ছিলেন তৎকালীন সময়ের একজন কামেল ওলী। তাঁর সংস্পর্শে থেকে আলী রজা ইসলামী আধ্যাত্মিক তালিম অর্জন করেন। কিয়াম উদ্দিন (র:) সম্পর্কে সিরাজ কুলুব গ্রন্থে তিনি বলেন
শাহ্ কেয়ামুদ্দিন গুরু জ্ঞান-সুধাধার,
তোমা কৃপা হইতে গতি আগম আমার’।
আপন পীরের নির্দেশে ১১৮২ বাংলা, ১৭৭৬ সনে স্রষ্টা প্রাপ্তির সাধনার নিমিত্তে গভীর অরণ্যে চলে যান। প্রথমে ১২ বছর গভীর অরণ্যে সাধনা শেষে নিজ ঘরে আসলে মনের অতৃপ্তি নিয়ে,আবার গভীর অরণ্যে দ্বিতীয় ১২বছর সাধনা শেষ করে স্রষ্টার প্রেমে নিজের আত্মা উৎসর্গ করে ওষখাইন আলী নগর দরবার শরীফে আগমন করেন। আগমনের কিছু সময় পর নিজ গৃহে আবার ১২বছর সাধনার মাধ্যমে স্রষ্টার প্রেমের পরিপূর্ণ নৈকট্য লাভে দীর্ঘ ৩৬ বছর সাধনা শেষে ১২১৮ বাংলা ১৮১২ সনে নিজ ভক্ত মুরিদ গণের আকুল আবেদনের প্রেক্ষিতে জনসমক্ষে পথহারা মানুষের পথের সন্ধান দিতে নিজের আত্মা উৎসর্গ করেন। সুদীর্ঘ জীবন আধ্যাত্মিক সাধনাকালে তাঁর শরিরের প্রতি অযতেœ অবহেলায় চুল-দাড়ি দীর্ঘ লম্বা এমনকি জট হয়ে যায়। আলী রজা কানু শাহ্’র আধ্যত্মিক সাধনার মাধ্যমে বিষু নামক একটি আধ্যত্মিক ধ্যানের মাধ্যমে জীবন- মৃত্যু সম্পর্কে স্রষ্টার কাছ থেকে বিশেষ সংবাদ লাভ করতেন, এমনি একটি বিষু করেন পৌষের শেষে (যা এখনো তাঁহার আউলাদ গণকে করতে দেখা যায়) সেই বিষু পালন করে মৃত্যুর ৫ দিন পূর্বে তাঁহার পরিবার ভক্ত মুরিদ গণকে নিজ মৃত্যুর সময় একেবারে নিকটে এসেছে বলে নিজ থেকে লম্বা জট চুল কেটে ফেলেন। এখনো তাঁর বংশধরদের মধ্যে প্রমাণস্বরুপ সেই জট (চুল) সংরক্ষিত আছে। আলী রজা কানু শাহ্’র অনুকরণে তাঁহার বংশধরদের মধ্যে অনেকেরই এখনো লম্বা চুল রাখার প্রবনতা লক্ষ করা যায়।
আলী রজার লিখিত একাধিক গ্রন্থ, আধ্যাত্মিক গান ও পুঁথি একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তার মধ্যে পটিয়ার হুলাইন গ্রামে আবদুস সাত্তার চৌধুরীর পুঁথিশালায় আগম-জ্ঞান সাগরের একটি পাÐুলিপি সংরক্ষিত রয়েছে, আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ সংগৃহীত পাঁচটি গ্রন্থের পান্ডূলিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুঁথিশালায় সংরক্ষিত আছে। একটি জাতীয় যাদুঘরে, একটি ধর্মীয় পুঁথিশালায় এবং বাকি কয়েকটি বাংলা একাডেমীতে সংরক্ষিত রয়েছে। তাছাড়াও অন্য একটি কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে আছে বলে জানা যায়। যোগ কলন্দর ও রাগমালা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুঁথিসাহিত্য বিভাগে সংরক্ষিত এবং বাকি পাÐুলিপির অধিকাংশ তাঁর বংশধরদের মধ্যে সংরক্ষিত আছে। আলী রজার আওলাদ দের কাছে সংরক্ষিত ‘আগম’ ড. আহমদ শরীফের প্রকাশিত ‘আগম’ থেকে অনেক বৃহৎ। তাঁদের কাছে সংরক্ষিত ‘আগম’ এ যে চরণসমূহ রয়েছে ড. শরীফের বাঙলার সূফী সাহিত্য গ্রন্থে প্রকাশিত ‘আগম’ এ তার অনেক চরণ নেই। আলী রজার রচিত প্রায় সাড়ো শতশত সঙ্গীতের অধিকাংশ তার আওলাদ দের কাছে সংরক্ষিত আছে।
একজন সুফি সাধক হিসেবে আলী রজা প্রকাশ কানু শাহ এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। চট্টগ্রামের গণ ২০০ বছরের আধ্যাত্মিক সুফী-সংগীতের ধারা আলী রজারই সাংগীতিক উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে। আলী রজার স্বার্থক উত্তরসূরি হিসেবে চিহ্নিত করা যায় কালজয়ী মরমী শিল্পী আস্কর আলী পন্ডিত ও গফুর হালীকে। আলী রজার অসংখ্য কেরামত তথা অলৌকিক ঘটনা অগণিত মানুষের মুখে মুখে এখনো প্রচলিত আছে। নুরুর রশিদ আক্তার প্রকাশ নুরু ফকির রহঃ রচিত আলী রজা প্রকাশ কানু বাবার পরিচিতি বইটিতে আলী রজার মৃত্যুকালীন সময়ের একটি অলৌকিক ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়। নুরু ফকির লিখেন, আলী রজা তাঁর নিজের জানাজা নিজেই পড়িয়েছিলেন! হযরত মেহেররুজ্জামান শাহ (রা), আবদুল করিম, ও মোহাম্মদ ওয়ারেছ সহ অসংখ্য ব্যক্তি যারা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন তাদের কে তিনি তার বইতে এই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করন।’ আলী রজার অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন বাংলাদেশের নানা প্রান্তে। তাঁর মনোনীত আধ্যাত্মিক খলীফা গণের মাজার শরীফ ও রয়েছে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়। ১৮৩৭ ইং সনে রোজ বুধবার ৭৮ বৎসর বয়সে ধরা ত্যাগ করেন এই মহান কবি ও আধ্যাত্মিক সাধক। প্রতি বছর ৫ই মাঘ তাঁর বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে লক্ষ আশেকের মিলন মেলা বসে তার মাজার শরীফে।