আটকেপড়া প্রবাসীদের বিক্ষোভ ষোলশহরে

9

কঠোর লকডাউনে দেশে আটকেপড়াদের ফেরত পাঠাতে নির্ধারিত ১৪টি ফ্লাইটের অর্ধেকই বাতিল করার খবরে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রামের প্রবাসীরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে নগরের ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা ফ্লাইট চালুর দাবি জানান। এর আগে লকডাউনে আটকেপড়া প্রবাসীদের ফেরত পাঠাতে শনিবার সকাল থেকে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার কথা জানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে এসব ফ্লাইট চলাচলের কথা ছিল। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাঁচটি ফ্লাইট রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রবাসী যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের অনেকে সৌদি আরব, কাতার ও ওমানে অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন। বিদেশে ফিরতে তারা টিকিট কেটে রেখেছিলেন। এর মধ্যে ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে আসছে। লকডাউনের মধ্যে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে গ্রাম থেকে এসে এখন শুনছেন- ফ্লাইট বাতিল।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে অনেক যাত্রী টিকিট কেনেন। ফ্লাইট বাতিল হলে ট্রাভেল এজেন্টদের মোবাইলে তা জানিয়ে দেওয়া হয় বিমানের পক্ষ থেকে। কিন্তু এ তথ্য অনেক সময় ট্রাভেল এজেন্টদের কাছ থেকে যাত্রীরা পান না। এতে তারা দুর্ভোগে পড়েন।
এদিকে বাঁশখালী থেকে আসা এক প্রবাসী জানান, বিমান অফিসে এসে ফ্লাইট বাতিলের খবর পাই। অথচ আগে থেকে এ খবর জানানো হলে এমন সমস্যায় পড়তাম না। নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে যেতে পারব কি না, সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি। ভিসার মেয়াদ আছে মাত্র তিন দিন।
এদিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ রোববার থেকে সিডিউল ফ্লাইট চলবে এবং ১৪ থেকে ২১ তারিখ যাদের টিকিট করা ছিল বা আছে, তাদের নতুন করে টিকিট রি-ইস্যু করতে হবে। বিমানবন্দরে না গিয়ে প্রথমে ১৪ থেকে ২১ তারিখের টিকিটগুলো রি-ইস্যু করতে হবে। এরপর করোনা টেস্ট করে গমন করতে হবে। পর্যায়ক্রমে এপ্রিলের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ তারিখের যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও এতে জানানো হয়।