অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিদ্যাপীঠ পটিয়া

43

জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি বলেছেন, পটিয়া অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালনের অন্যতম বিদ্যাপীঠ। সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থানে এগিয়ে যাচ্ছে পটিয়া। পটিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাসড়কের গর্বিত অংশীদার করতে দলমতনির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে পটিয়া সাংবাদিক ফোরাম-চট্টগ্রাম নগরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সম্মাননা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদের হুইপ নিযুক্ত হওয়ায় পটিয়া সাংবাদিক ফোরাম-চট্টগ্রাম নগর সামশুল হক চৌধুরী এমপিকে এ সম্মাননা প্রদান করে। অনুষ্ঠানে হুইপকে ফোরামের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান ও উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।
ফোরামের আহবায়ক শহীদ উল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোরামের সদস্যসচিব মহসিন চৌধুরী, হুইপের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন যুগ্ম সদস্য সচিব শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার। অনিন্দ্য টিটোর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, বিএফইউজের সাবেক সহসভাপতি কবি সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত ও ওমর কায়সার, শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির সভাপতি স্বপন কুমার মল্লিক, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ মনোয়ার, পটিয়া পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশিদ প্রমুখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক ও বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসিফ সিরাজ।
বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী অনন্য বড়–য়ার পরিচালনায় প্রাপন একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও উন্নয়ন শীর্ষক বিশেষ নৃত্য আলেখ্যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মাননা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠান।
হুইপ সামশুল হক চৌধুরী পটিয়াকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার তীর্থস্থান উল্লেখ করে আরও বলেন, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমি যানবাহন ফ্রি করে দেই। সব ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প, রাজনৈতিক সংগঠন, স্কুল পরিচালনা কমিটিসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করি।
তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে পটিয়ায় সাড়ে চার হাজার গভীর নলকুপ স্থাপন করেছি। ভূগর্ভস্ত পানির স্তর ধরে রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে আধুনিক পদ্ধতিতে পানি শোধনাগার স্থাপনের মাধ্যমে ওয়াসার ন্যায় পৌরসভার প্রতিটি বাসা-বাড়িতে সুপেয় পানি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। একইসঙ্গে প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে রিজার্ভার স্থাপনের মাধ্যমে সুপেয় পানি নামেমাত্র মূলে পৌঁছে দেয়ার প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, পটিয়া পৌরসভাকে করা হবে তিলোত্তমা শহর। পটিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে দেশের প্রথম কর্ণফুলী টানেলের সংযোগ সড়ক। ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে এ সড়ক। উপজেলার সৌন্দর্য রক্ষায় সব উন্নয়ন পৌরসভাকেন্দ্রিক না করে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিস্তৃত করা হচ্ছে। বরেণ্য ব্যক্তিদের নামে প্রধান প্রধান সড়কগুলো নামকরণ করা হচ্ছে । এ ছাড়া আইটি পার্ক স্থাপন, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ, ১০০০ আসনের কমিউনিটি সেন্টার কাম অডিটরিয়াম নির্মাণ, চারটি গেস্ট হাউস এবং মিনি সার্কিট হাউজ নির্মাণের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। খবর বিজ্ঞপ্তি