৯০০ শিশুকে মুক্তি দিলো নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠী

38

নাইজেরিয়ার সরকার-সমর্থিত এক মিলিশিয়া বাহিনীর প্রায় ৯০০ শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার জাতিসংঘ শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ তাদের মুক্তির খবর জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর খবরে বলা হয়েছে, সিভিলিয়ান জয়েন্ট টাস্কফোর্স (সিজেটিএ)নামের মিলিশিয়া সংগঠন থেকে ওই শিশুরা মুক্তি পেয়েছে। তারা মূলত বোকো হারামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নাইজেরিয়া সরকারকে সহায়তা দিয়ে থাকে।কয়েক বছর আগে নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে বোকো হারামের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা বলে সিজেটিএ আত্মপ্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল কোয়ালিশনের সহযোগিতায় ২০১৩ সালে এই মিলিশিয়া গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউনিসেফ জানিয়েছে, শুক্রবার উত্তরপূর্বাঞ্চলের মাইদুগুরি শহর থেকে ৮৯৪ শিশুকে মুক্তি দিয়েছে ওই বাহিনী।
এদের মধ্যে ১০৬ জন কন্যাশিশুও ছিল। মিলিশিয়া গ্রুপটির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সংঘাতে শিশু-কিশোরদের নিয়োগ বন্ধ করা এবং তাদের যুদ্ধে ব্যবহার না করার অংশ হিসেবে তারা ওই শিশুদের মুক্তি দিয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, শিশু নিয়োগ বন্ধে ২০১৭ সালে সিজেটিএফ অ্যাকশন প্লানে স্বাক্ষরের পর এক হাজার ৭২৭ শিশুকে মুক্তি দিয়েছে ওই বাহিনী। জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং নাইজেরিয়ার সরকারের সাথে মিলে তারা মুক্তিপ্রাপ্ত এসব শিশুদের পুনর্বাসনের কাজ করছে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে উত্তরপূর্ব নাইজেরিয়ায়আল কায়েদা সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে, হামলা করেছে সামরিক ঘাঁটিতে। ইউনিসেফ বলছে, এই অঞ্চলে চলমান সংঘাতে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিশুকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নাইজেরিয়া ইউনিসেফের প্রতিনিধি মোহাম্মদ ফাল বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এই লড়াইয়ে শিশুরা আক্রান্ত হতে থাকচে ততক্ষণ আমরা শিশুদের জন্য লড়াই বাদ দিতে পারি না। যতক্ষণ পর্যন্ত নাইজেরিয়ার সব সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছ থেকে শেষ শিশুটিকে উদ্ধার করতে না পারছি ততক্ষণ আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
বোকো হারামের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে গণ-অপহরণ, গুপ্তহত্যা ও বাজারে বোমাবর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে সেনা সদস্যদের হামলার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হিসেবে, জানুয়ারিতে প্রায় ৩০ হাজার গ্রামবাসী ক্যামেরুনে পালাতে বাধ্য হয়েছে।