৮০ লিটার দুধ হয়ে যায় ২৫০ লিটার!

41

বরিশালের চন্দ্রমোহন এলাকার আরিফ হোসেন পেশায় একজন দুধ বিক্রেতা। সে বিগত কয়েক বছর আগে হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার (জয়নাব ক্লাবের পাশে) মোতালেব ভবন নামে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে গড়ে তুলেন একটি দুধ তৈরির কারখানা। তাইতো প্রতিদিন সে ওই এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ৮০ লিটার তরল দুধ সংগ্রহ করে।
কিন্তু সে বিক্রি করে ২৫০ লিটার। মনে হতে পারে কিভাবে সম্ভব। এ অসম্ভব কাজকে সম্ভব করতে ওই দুধ বিক্রেতা আরিফ আসল দুধের সঙ্গে রাতের আঁধারে গুঁড়ো দুধ আর পানি মেশানোর কারবার করে ৮০ লিটার দুধকে ২৫০ লিটার তরল খাঁটি দুধে পরিণত করে।
আর এ অভাবনীয় ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মারফত জানতে পেরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আমান বাজার এলাকার ওই দুধ তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত আরিফের ঘর থেকে ২৫০ লিটার দুধ ও দুধ পাউডার জব্দ করে এতিমখানায় বিলি এবং আরিফকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, আরিফ হোসাইন দোতলায় ঘর ভাড়া নিয়ে ভেজাল দুধের কারখানা গড়ে তুলেছিল। এক ভাগ খাঁটি দুধের সঙ্গে পাউডার বেøন্ড করে দুই গুণ পানি মিশিয়ে গরুর দুধের নামে বিক্রি করত।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ স্বীকার করেছে, ক্রেতারা যাতে ভেজাল দুধের মধ্যে খাঁটি দুধের সুঘ্রাণ পান সে জন্যই ৮০ লিটার দুধ কিনে আনত। ওই দুধের সঙ্গে ভেজাল মিশিয়ে সে বিক্রি করতেন ২৪০ লিটার। মিষ্টির দোকানে সরবরাহের পাশাপাশি খুচরা গ্রাহকদের কাছেও এ দুধ বিক্রি করত।