১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে খাদ্য সংকটে ঠেলে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন

42

লাখ লাখ ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকারে ভারী হয়ে উঠছে পৃথিবীর বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগারখ্যাত গাজা উপত্যকার আকাশ। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক ত্রাণ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনি সহায়তা তহবিলে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখনি এই ঘাটতি পূরণ না করা গেলে আগামী মাস থেকেই ১০ লাখেরও বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা জাতিসংঘের।
ট্রাম্প প্রশাসন জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হতে শুরু করে। তখন থেকেই গাজা ও পশ্চিম তীরের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা খাতে বরাদ্দ বাতিল করতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা থেকে ফিলিস্তিনিদের জন্য ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দ প্রত্যাহারের পর গত বছর জুনে ফিলিস্তিনিদের আরেকটি সহযোগিতাও বাতিল করা হয়। এই ঘাটতি পূরণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব দেশগুলোসহ রাশিয়া এবং চীনের মতো সমৃদ্ধশালী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহব্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাটি।
তারা জানায়, লাখ লাখ মানুষকে ক্ষুধার তাড়না থেকে বাঁচাতে জুনের মাঝামাঝিতেই ৬ কোটি ডলার প্রয়োজন। সংস্থাটির পরিচালক ম্যাথিয়াস স্কেমেল বলেন, আমরা খাবার সরবরাহের ব্যাপারে খুবই জটিল পরিস্থিতিতে রয়েছি।
আমরা ১০ লাখ মানুষকে তাদের প্রয়োজনের এক চতুর্থাংশ খাবার সরবরাহে সমর্থ হচ্ছি। ন্যূনতম এই খাবার না পেলে তাদের অনেকেই বাঁচবে না। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার আগে ম্যাথিয়াস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ বন্ধ করার কারণেই এই ঘাটতি পূরণ জরুরি হয়ে পড়েছে।