হোয়াইট হাউসকে রক্তে রঞ্জিত করার হুঁশিয়ারি মাদুরোর

36

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো তাকে উচ্ছেদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকে নোংরা সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি তাকে উৎখাতে জিদ করে থাকেন তাহলে তাকে রক্তে রঞ্জিত হয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে। স্প্যানিশ সাংবাদিক জোরদি ইভোলি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
নিকোলাস মাদুরো বলেন, ‘থামুন। থামুন, ট্রাম্প! এখানেই থেমে যান! আপনি এমন ভুল করছেন যা আপনার হাতকে রক্তে রঞ্জিত করবে। রক্তের দাগ নিয়ে আপনাকে প্রেসিডেন্সি ছাড়তে হবে। কেন আপনি ভিয়েতনামের পুনরাবৃত্তি চাইছেন?’ ভেনেজুয়েলায় আট দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন দিতে ইউরোপের কয়েকটি দেশ যে আল্টিমেটাম দিয়েছে তাও নাকচ করে দিয়েছেন মাদুরো। তিনি বলেন, আমরা কারও কাছ থেকে আলটিমেটাম গ্রহণ করি না। আমি এই মুহূর্তে নির্বাচনের আহব্বান প্রত্যাখ্যান করছি। ২০২৪ সালে নির্বাচন হবে। ইউরোপ কী বললো তাকে আমরা গোণায় ধরি না।
নিকোলাস মাদুরো বলেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আপনি আল্টিমেটামের ওপর ভর করতে পারেন না। এসব ঔপনিবেশিক সময়কালের জন্য প্রযোজ্য।
নিজের রাজনৈতিক গুরু হুগো শাভেজের মৃত্যুর পর ২০১৩ সালে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতায় আসেন বামপন্থী রাজনীতিক নিকোলাস মাদুরো। ভেনেজুয়েলা ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা নেই বলেও জানান এই রাজনীতিক। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট বলেন, উত্তর আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদীরা হামলা চালালে আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে হবে। দেশকে আমরা তাদের হাতে ছেড়ে দেবো না। তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলায় কোনও মানবিক সংকট নেই। এখানে যা রয়েছে তা হচ্ছে রাজনৈতিক সংকট। ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদো’কে অভ্যুত্থানের কৌশল থেকে সরে আসারও আহব্বান জানান মাদুরো। তিনি বলেন, আপনি কি করছেন; সে সম্পর্কে সাবধানে চিন্তা করুন।
বর্তমান সংকট যুদ্ধ পর্যন্ত গড়ানোর আশঙ্কা করছেন কিনা; এমন প্রশ্নের উত্তরে মাদুরো বলেন, সবকিছু নির্ভর করছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের উন্মত্ততা ও আগ্রাসনের ওপর। এটা আমাদের ওপর নির্ভর করছে না। তবে নিজেদের অধিকার রক্ষায় ভেনেজুয়েলাও প্রস্তুতি নিচ্ছে। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির বিপরীতে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই ভেনেজুয়েলার সামরিক ঘাঁটিগুলো পরিদর্শন করছেন মাদুরো। একটি নৌ ঘাঁটি পরিদর্শনে তিনি বলেন, আমরা কী উপনিবেশে পরিণত হতে পারি?