হাটহাজারীর হাট-বাজারে শীত পিঠা বিকিকিনির ধুম

103

শীত আমার কাঁথা, আগুন আমার ভাই, শীতেরে কইও আমার, কাঁথা কাপড় নাই-কুয়াশায় ঘেরা শীতেল সকালে শীতের ভয় হতদরিদ্র অসহায় ব্যক্তিদের নেই, কারণ শীতের সাথে তাদের রয়েছে মিত্রতা, আগুনের সাথে রয়েছে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। বন্ধু শীতকে তারা জানিয়ে দিচ্ছে তাদের কাঁথা কাপড় নেই, শীত যেন প্রচন্ড না হয়। তবে গ্রাম বাংলার এমন করুণ ছবি ক্ষনিকের প্রতিভাসিত হয়, কিন্তু এ অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী নয়। ষড় ঋতুর দেশ আমাদের এ সুন্দর, সুজল, সুফল্য বাংলাদেশ। কালের পরিক্রমায় এক ঋতুর পরিবর্তন হয়ে আগমন ঘঠে অন্য এক ঋতুর। ঠিক এমনি ভাবে ঋতু পরিবর্তন হয়ে আবর্তিত হয়েছে অন্যতম এ শীত ঋতুর। এ শীত ঋতুর শোভা অন্য ঋতুর থেকে ভিন্ন। প্রকৃতির সতেজ অনুভূতির ক্ষণিকের জন্য সরিয়ে যায়। ধরনীর বৈচিত্রতায় দেখা যায় জড়তা। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এ শীত ঋতুতে আমাদের অসহায় কৃষকরা ঘরে তুলে নেয় তাদের কষ্টার্জিত ফসলগুলো। এ ফসল পেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে তাদের পরিবারের সকল সদস্যের অন্তর। এ সময় নবান্নের মহড়া চলে প্রত্যেক কৃষকদের প্রতিটি ঘরে ঘরে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সেই খেজুর রসের ঘ্রাণ আর শিউলি ফুলের গন্ধে কুয়াশার শ্রাবণ সকাল সৌন্দর্যমন্ডিত করত। কিন্তু এখন আর সেই ফুলের গন্ধ পাওয়া গেলেও খেজুর রস অনেক এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন প্রজন্মের কাছে খেজুরের রস এক অচিন বস্তু। এদিকে উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ সবকটি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল তথা হাট-বাজার গুলোতে শীত পিঠা বিকিকিনির ধুম পড়েছে। সকালে কুয়াশা ভরা শীতকে উপেক্ষা করে লেপ কাঁথা ত্যাগ করে সেই সব স্থান থেকে গরম গরম পিঠা পরিবেশন করেছেন বিভিন্ন শ্রেণীর লোক। আর শীত পিঠা বিক্রি করে অনেকে তাদের উপার্জনের উপায় মেটাচ্ছে। এমনি এক পিঠা বিক্রেতা আলী আকবর (৪৫)। তিনি হাটহাজারীর বাজারের ফকির মসজিদ এলাকায় শীত পিঠা বিক্রেতা হিসেবে বেশ পরিচিত।
তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আমি সকালে ও সন্ধ্যায় এই স্থানে শীত পিঠা বিক্রি করে থাকে। প্রতি পিচ পিঠার দাম ১০ টাকা। এই স্থানে বসে আমি প্রতি রাতে প্রায় দুই শতাধিক পিঠা বিক্রি করি। এতে আমার খরচ বাদ দিয়ে ৩৫০-৪০০ টাকা লাভ হয়।