হাটহাজারীতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি

45

কালবৈশাখী ঝড়ের প্রায় ২০ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও হাটহাজারীতে স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ চলাচল। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ প্রায়ই বিচ্ছিন্ন ছিল। গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা। সেখানে রাত থেকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীসহ উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন হাজার হাজার গ্রাহককে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতা ও হেয়ালিপনাকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পল্লী বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। ফলে গতকাল সোমবার থেকে শুরু হওয়া উচ্চমাধ্যমিক ও আলিম পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বুড়িপুকুর পাড়, কাজী পাড়াকাল, বরিশাল টিলা, বর্মাটিলসহ আরো বেশ কয়েকটি স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় ২০ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও বিদ্যুৎ চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।
শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রবিবার রাতে চলে যাওয়া বিদ্যুৎ সোমবার সন্ধ্যা ৫টার দিকে আসলেও ফের চলে গেছে। এ ব্যাপারে তারা মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া নয়াহাটস্থ পল্লী বিদ্যুতের উপ-কেন্দ্রে কর্মরত কর্তাদের বলা হলেও বিষয়টি তারা আমলে নিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ হাটহাজারী জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ওমর ফারুক জানান, ঝড়ের কারণে বৈদ্যুতিক সংযোগ লাইন বিছিন্ন হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে গেছে। বিদ্যুৎকর্মীরা বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করে কিছু এলাকায় সরবরাহ দিতে সক্ষম হন।