সড়ক পরিবহন আইনে মামলা আজ থেকে

51

নগরীতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে সড়ক পরিবহন আইনের প্রয়োগ। এ নিয়ে সব রকমের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ।
গতকাল রবিবার পূর্বদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোস্তাক আহমেদ।
জানা যায়, গত একমাস ধরে নতুন সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে নগরীর বাস টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের একত্র করে এ আইন সম্পর্কে ধারণা দেয়া এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে নিয়মিত বিভিন্ন ফিচার প্রকাশ করা হয়েছে।
পরিবহন বিশ্লেষকরা জানান, নতুন সড়ক পরিবহন আইনে সাজার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মানুষ শাস্তির ভয়ে হলেও আইন মানবে। উন্নত বিশ্বের মত এ আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিপরীতে পয়েন্ট পদ্ধতি রয়েছে। আইন অমান্য করলে পয়েন্ট কমতে থাকবে। এক পর্যায়ে বরাদ্দকৃত পয়েন্ট শেষ হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। আর কন্ট্রাকটর নিয়োগ ও লাইসেন্স নেওয়ার বিধান রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও যাত্রীদের বীমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রাইভিং স্কুলের মাধ্যমে ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদন্ড, ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। সেই সাথে কিছু কিছু অপরাধের কারণে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের বিধান রয়েছে এ আইনে।
নগর পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক (উত্তর) মহিউদ্দিন খান বলেন, সিএমপি’তে ‘পিওএস’ মেশিনের মাধ্যমে মামলা দেয়া হয়। নতুন আইনের জন্য ‘পিওএস’ মেশিন সফটওয়্যার আপডেটের কাজ চলছে। যার কারণে কেস স্লিপ অর্থাৎ বইয়ের মাধ্যমে মামলা দেয়া হবে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোস্তাক আহমেদ পূর্বদেশকে বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সোমবার থেকে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মামলা প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের একটু গুছিয়ে আসতে সময় লেগেছে। আর দুর্ঘটনায় কেউ মারাত্মক আহত ও নিহত হলে থানায় মামলা হবে। ড্রাইভারের পয়েন্ট কর্তনের বিষয় সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে, এতে বুঝা যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কত পয়েন্ট কর্তন হয়েছে। আমরা মনে করি এই আইনটির ফলে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরে পাবে। আমরা আইন প্রয়োগে সচেষ্ট থাকবো।