সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা

56

নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (সোশ্যাল মিডিয়া) অপপ্রচার চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য তিনি সারাদেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোরও নির্দেশনা দেন তিনি।
গতকাল সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় পুলিশ কর্মকর্তাদের তিনি এসব নির্দেশনা দেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
আইজিপি বলেন, জনগণ যাতে পহেলা বৈশাখ আনন্দ ও উৎসবের সঙ্গে উদযাপন করতে পারে সেজন্য সকলকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারাদেশে জনসমাগমের জায়গাগুলোতে নিশ্চিত করতে হবে বাড়তি নিরাপত্তা। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ নিরাপদে উদযাপন করা সম্ভব হবে।
সভায় রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূল, রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিলসহ বড় জনসমাগমের স্থান এবং মঙ্গল শোভাযাত্রায় পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জরুরি উদ্ধার অভিযানের জন্য পুলিশের হেলিকপ্টারও নিয়োজিত থাকবে।
আইজিপি আরও বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় শপিং সেন্টার, মার্কেট, বাজার, দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নববর্ষের হালখাতা অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেলস্টেশন, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালসহ জনসাধারণের চলাচলের জায়গাগুলোতে নেওয়া হবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পোশাক পরিহিত ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
বর্ষবরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিক সমন্বয়ের লক্ষ্যে পুলিশ সদর দপ্তর, সব মহানগর, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। রমনা পার্কে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও র‌্যাব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করবে। এছাড়া ডিএমপি ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার’ এর মাধ্যমে জনগণকে সেবা দেবে।
সভায় র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত আইজিপি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. শাহাব উদ্দীন কোরেশী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার (এনএসআই) পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ঢাকা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।