সীতাকুন্ডে মায়ের হাত থেকে ছুটে গিয়ে গাড়িচাপায় শিশুর মৃত্যু

31

সীতাকুন্ডে এক চিকিৎসকের গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মো. জিহাদুল ইসলাম সিয়াম (৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সিয়াম উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন পৌরসদর মৌলভীপাড়া এলাকার কামরুল ইসলামের পুত্র। কামরুল ইসলাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগী আনা-নেওয়ার একটি বেসরকারি এ্যাম্বুলেস চালকের সহকারির কাজ করতেন। ঘটনার পর থেকে শিশুর পিতা-মাতা দুইজনই বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে সিয়ামের মা অসুস্থ হলে চিকিৎসা নিতে আসেন পিতা-মাতাসহ একমাত্র পুত্র সিয়াম। এরপর মা চিকিৎসা নিয়ে বাহিরে দাঁড়ালে বিশ ফুট দূরে এ্যাম্বুলেন্সের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন পিতা। হাসপাতালের পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের চিকিৎসক পিয়াংকা চৌধুরীকে নামিয়ে দ্রুত গতিতে ফিরছিলেন গাড়ি চালক। এসময় পিতার কাছে দৌড়ে যেতেই গাড়িটির নিচে চাপা পড়ে সিয়াম। সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সিয়ামকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক।
একমাত্র পুত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন সিয়ামের পিতা-মাতা। এদিকে ঘটনার পর পরই উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মিল্টন রায় হাসপাতালে ছুটে যান এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিনসহ জরুরী সভায় বসেন। কিন্তু সিয়ামের পিতা-মাতা বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গাড়ির মালিক পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডা. পিয়াংকা চৌধুরী আবেগ-আপ্লুত ভাষায় বলেন, সিয়ামের সমবয়সী আমারও একটি সন্তান রয়েছে। আমি আসলে অত্যন্ত মর্মাহত ও ব্যাথিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, ঘটনার পর পরই আমি হাসপাতালে ছুটে যায়। একমাত্র শিশুর মর্মান্তিক ঘটনায় পিতা-মাতা দুইজনই অজ্ঞান থাকায় আমরা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। সিয়ামের পিতা-মাতা সুস্থ হলে উনাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।