সীতাকুন্ডে অস্ত্র ও গাড়িসহ ৫ সন্ত্রাসী আটক

24

সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড জাহানাবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলনস্থল থেকে অস্ত্র ও নোয়াহ গাড়িসহ ৫ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সম্মেলন চলাকালীন সময়ে একটি নোয়াহ গাড়িসহ সম্মেলনস্থলে হামলার উদ্দেশ্যে আসলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি তদন্ত মো. শামীম শেখ।
আটককৃতরা হলেন, ৭১ ক্লাবের সদস্য খাদেম পাড়া এলাকার রফিকের পুত্র আবদুল নুর বাবু (২৬), মাজার গেইট নুর আলমের পুত্র মো. মিজান (২৩), পটিয়া এলাকার তপনের পুত্র টিপু (২২), দোহাজারি থানার খাগরিয়া গ্রামের মো. ইসমাইলের পুত্র রিদোয়ান (৩০) ও কক্সবাজার ঈদগাঁ এলাকার নাছির উদ্দিনের পুত্র মো. হেলাল (২৭)। আটককৃতদের কাছ থেকে পুলিশ একটি বিদেশি রিভলভার ও একটি ধামাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
জানা যায়, উপজেলার ভাটিয়ারি জাহানাবাদ এলাকায় পূর্ব নির্ধারিত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সম্মেলনের তারিখ ছিল। সম্মেলনস্থলে ইউনিয়ন ও থানার নেতারা ব্যস্ত ছিল ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন কি সিলেকশনে হবে না ভোটাভুটিতে হবে। ঠিক ওই সময়ে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী স্থানীয় ৭১ ক্লাবের উপদেষ্টা মুসলিম উদ্দিনের ভাড়াড়ে সন্ত্রাসীরা একটি নোয়াহ গাড়ি নিয়ে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়। কয়েকজনের সন্দেহ হওয়ায় তারা বিষয়টি উপস্থিত নেতাদের জানান। আর এ সময় শুরু হয় অস্ত্রের প্রদর্শন, তবে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক গাড়িতে থাকা ১২ জনকে আটক করতে না পারলেও ৫ জনকে ধরে ফেলে এবং গাড়িতে থাকা অস্ত্র দেখতে পায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ গিয়ে গাড়িটি জব্দ করে এবং অস্ত্রসহ ৫ জনকে আটক করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও ৭১ ক্লাবের উপদেষ্টা মুসলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম ঠিক কিন্তু এ সকল সন্ত্রাসী কার মাধ্যামে আসছে আমি তা জানি না।’
অপরদিকে আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রনি বলেন, “আমার বিরোধী প্রার্থী মুসলিম পরাজয় জেনে ৭১ ক্লাবের সদস্য জামায়াতের অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসী আব্দুল নূরকে দিয়ে শহর থেকে অস্ত্রসহ ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে আসে। স্থানীয়রা অস্ত্রসহ ভাড়া গাড়ি ও পাঁচ সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস.এম.ইউসুফ ও গাজী দিদার আমার বিরোধী পক্ষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। এসকল জামায়াতের অনুপ্রবেশকারি সঠিক বিচার দাবি করছি।
সীতাকুন্ড থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা একটি রিভলভার ও একটি ধামাসহ ৫ সন্ত্রাসীকে আটক করেছি। এদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং কাদের মাধ্যামে এরা এখানে আসলো তাও তদন্ত করা হচ্ছে।’