শ্রীলঙ্কায় হোয়াইটওয়াশ তামিম বাহিনী

36

এবারের লঙ্কা মিশনে সামান্য প্রতিরোধও গড়তে পারলো না বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচেও শ্রীহীন ব্যাটিংয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবলো তামিম ইকবালের দল। গতকাল প্রতিরোধ গড়েছিলেন কেবল একজন সৌম্য সরকারই। তবে শেষের দিকে তাইজুল ইসলাম লড়াই করলেও লাভ হয়নি কোনও। কলম্বোর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সফরকারীরা হেরেছে ১২২ রানে।
সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল কলম্বোর আগের ম্যাচেই। তিন ম্যাচের সিরিজে টানা দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কা চোখ রাঙাচ্ছিল। গতকালের ম্যাচে হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে শেষটা অন্তত জয় দিয়ে রাঙিয়ে দেশে ফেরার সুযোগ ছিল টাইগারদের সামনে। কিন্তু ব্যর্থতার একই দৃশ্য মিললো আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। শ্রীলঙ্কার নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ ওভারে করা ২৯৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৩৬ ওভারেই অলআউট ১৭২ রানে। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ তে হেরে হোয়াইটওয়াশ মাশরাফি-সাকিববিহীন বাংলাদেশ।
এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টানা দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জায় ডুবলো তামিমরা। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর আবার শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ হতে হলো তাদের।
ওপেনিং জুটি বদল করেও লাভ হয়নি।এনামুল হককে নিয়ে ব্যাটিং ইনিংস শুরু করলেও ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া তামিম আবারও হতাশ করেন মাত্র ২ রানে ফিরে গিয়ে। অন্যদিকে লম্বা সময় পর জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগটা একেবারেই কাজে লাগাতে পারেননি এনামুল, ২৪ বলে ১৪ রান করে আউট হয়ে দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে যান তিনি।
শ্রীলঙ্কা সফরে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ভিড়ে অনন্য ছিলেন মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচে মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা এই ব্যাটসম্যান এবার ব্যর্থ। ১৫ বলে মাত্র ১০ রান করে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরলে আরও চাপে পড়ে সফরকারীরা। সেটা আরও বাড়ে মোহাম্মদ মিঠুনের (৪) পর মাহমুদউল্লাহর (৯) ব্যর্থতার মিছিল চালু থাকলে। ৮৩ রান তুললে বাংলাদেশের নেই তখন ৫ উইকেট!
কঠিন ওই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আর সম্ভব হয়নি। ৭ রান করে সাব্বির রহমানের আউটের পর মেহেদী হাসান মিরাজ ৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলে একরকম শেষই হয়ে যায় বাংলাদেশের আশা। ওয়ান ডাউনে নামা সৌম্যের ৬৯ রানের লড়াকু ইনিংসটা কেবল আক্ষেপই বাড়িয়েছে। একপ্রান্ত আগলে রেখে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে বোল্ড আউট হওয়ার আগে ৮৬ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়।
শেষ দিকে তাইজুল লড়াই করলেও হোয়াইটওয়াশ এড়ানো যায়নি। স্বীকৃতি ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ‘শিক্ষা’ দিয়ে ২৮ বলে খেলেছেন তিনি ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস।