শীতকালীন সবজির আবাদে ব্যস্ত কৃষক

66

রাউজান উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শীতকালীন সবজির ঘ্রাণ। এই মৌসুমের সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন স্থানীয় কৃষকরা। সবজির বীজ বপন, চারা রোপণ ও পরিচর্যার কাজ হচ্ছে মাঠে মাঠে। উপজেলায় যেন শীতের সবজি চাষের ধুম পড়েছে। কেউ কেউ আরও আগেই সবজি চাষে নেমেছেন। এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের প্রায় সব ধরনের সবজি। এর মধ্যে রয়েছে শিম, লাউ, ফুলকপি,বাঁধাকপি, আলু মুলা, লাল শাক, টমেটো, শসা, গাজরসহ নানা ধরনের সবজি। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শীতকালিন সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম একটু চড়া। তারপরও লোকজন নতুন সবজি ক্রয় করছেন। সবজি বাজারে তুলতে পারলে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব- এমন চিন্তা মাথায় রেখে চারা তৈরি ও সবজি চাষে ব্যস্ত চাষিরাও। উপজেলার ডাবুয়া, হলদিয়া ও কদলপুরে ইউনিয়নে শীতকালীন সবজি বেশি চাষাবাদ হয়। ফলে এসব ইউনিয়নের সবজি চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাউজানে এ বছর সবজি চাষাবাদে আবাদ চলমান রয়েছে। উপজেলার হলদিয়া, ডাবুয়া, রাউজান সদর ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক জানান, শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই। যারা পিছিয়ে পড়েছেন, তারা এখন চাষের তোড়জোড় শুরু করেছেন। তবে চাষিরা জানান, সবজি চাষে এখন খরচ বাড়ছে। কীটনাশক, সার, শ্রমিক, সেচ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন। উপজেলার পূর্ব গুজরা গ্রামের সবজি চাষী নুরুল ইসলাম ও এমদাদ হোসেন বলেন, শীতকালীন শাকসবজি চাষাবাদ করছি। ইতোমধ্যে লাউ চাষাবাদ করে ভালো ফলন হয়েছে। কৃষি অফিসের সহযোগিতা ছাড়াই আমরা সবজি চাষাবাদ করে আসছি।
এখনও লাউ ও লাল শাক স্থানীয় মুফতির বাজারে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি করছেন স্থানীয় সবজি চাষিরা। পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন সাহাবুদ্দিন আরিফ বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের হালদা নদীর পারে বেশি সবজি চাষাবাদ হয়। এখানে এবার আগাম জাতের সবজি চাষ হয়েছে। বর্তমানে এলাকার সবজি চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।’